ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেলবোর্নেও বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

মেলবোর্নেও বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মেলবোর্নেও সফরকারী উইন্ডিজকে দুমড়ে-মুচড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে স্টিভেন স্মিথের দল জিতল ১৭৭ রানের বড় ব্যবধানে। এর মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০তে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক অসিরা। ৪৬০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮২ রানে অলআউট হয় সফরকারী ক্যারিবীয়রা। পেস-সহায়ক উইকেটেও ঘূর্ণি বলের মায়াজাল বিস্তার করে (৭ উইকেট) ম্যাচসেরা হয়েছেন অসি-অফস্পিনার নাথান লেয়ন। অদম্য অসিদের সামনে ‘বক্সিং ডে টেস্টে’ কার্যত পাত্তাই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিডনিতে আনুষ্ঠানিকতার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু ৩ জানুয়ারি। ৭ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। যখন স্বাগতিকরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ৪৫৯ রানে এগিয়ে। স্মিথ অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। নিজের সেঞ্চুরির জন্য কিছুটা সময় তিনি নিতেই পারতেন। কিন্তু হাঁসফাঁস প্রতিপক্ষের দুর্বলতা জেনে অস্ট্রেলিয়া অধিনাযক দ্রুত জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ধারণা বাস্তবায়নে বাকি দু’দিন সময়ের প্রয়োজন পড়েনি। উইন্ডিজকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আগের দিনই ৩ উইকেটে ওই ১৭৯ রান তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জেসন হোল্ডারদের ৪৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রাটা যে ছোঁয়ার ক্ষমতা নেই, সেটা হয়ত ভালমতোই জানতেন অসি সেনাপতি। তাই কাল বিলম্ব না করে, মঙ্গলবার আর ব্যাটিংয়ে না নেমে, বোলারদের হাতে বল তুলে দেন স্মিথ। জেমস প্যাটিনসন, নাথান লেয়ন, মিচেল মার্শরা বাকি কাজটা করে গেলেন নিখুঁতভাবে। জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৫৯ রানের অবিশ্বাস্য লিডটাকে টপকাতে হতো, নয় তো নিদেন ড্র’র জন্য ক্রিজে দু’দিন কাটিতে দিতে হতো। কোনটাই তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার দুরন্ত বোলিংয়ের মুখে সেটি দুঃস্বপ্নের নামান্তর! লক্ষ্যপথে নিজেদের প্রথম ইনিংসের চেয়ে আর ১২ রান বেশি, অর্থাৎ ২৮২ করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাও ছয় ও সাত নম্বরে নামা দিনেশ রামদিন আর অধিনায়ক হোল্ডারের দুটি হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে। ষষ্ঠ উইকেটে ২১ ওভারে ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়ে দুজনে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। অসিদের জয়ের সময়টা প্রলম্বিত হয়েছে, এই যা। রামদিন ৯০ বলে ৮ চারের সাহায্যে করেন ৫৯। হোল্ডার ৮৬ বলে ৬৮। অধিনায়কের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছক্কার মার। প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের মালিক ড্যারেন ব্রাভো ফেরেন ২১ রান করে। অথচ বিশাল চাপ মাথায় নিয়ে উইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের শুরুটা মন্দ ছিল না। টপঅর্ডারে সবাই আশা জাগিয়েও দপ করেই নিভে গেছেন। ওপেনার রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা ৩৭ ও ক্রেইগ ব্রেথওয়েট করেন ৩১ রান। ব্যাটপ্যাঁচে থাকা বড় তারকা মারলন স্যামুয়েলস ১৯ এবং প্রতিভাবান জার্মেইন ব্ল্যাকউডের দৌড় ছিল ২০ রানের। ৮৮.৩ ওভারে ২৮২ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। মিচেল মার্শ ৬১ রানে ৪ ও লেয়ন ৮৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জয়টাকে নিজেদের নাগালে নিয়ে আসেন। তাদের ভাল সহায়তা দেন জেমস প্যাটিনসন (২/৪৯)। এই হারে ২০০৪ ও ২০০৫ সালের (এক বছরে) এবারও (২০১৫) নিজেদের সর্বোচ্চ ৮ হারের ‘লজ্জার’ রেকর্ড স্পর্শ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সান্ত¡না এই, ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের পর ৮০ ওভারের বেশি ব্যাট করতে পারল ক্যারিবীয়রা!
×