ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকের বলি মুন্সীগঞ্জে হাফজা টাঙ্গাইলে হালিমা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

যৌতুকের বলি মুন্সীগঞ্জে হাফজা টাঙ্গাইলে হালিমা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ যৌতুকের বলি হয়েছে এবার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার গোপিনপুর গ্রামের আঃ মতিন মোল্লার একমাত্র মেয়ে হাফজা আক্তার। ঢাকার সাভার উপজেলার নবীনগর গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকের সিঁড়ির নিচ হতে রবিবার রাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর হতে নিহতের স্বামীর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। ২০ লাখ টাকা হাওলা দেয়ার পরও স্বামীর দাবিকৃত আরও ১৫ লাখ টাকার যৌতুক নিয়ে বিবাদ চলছিল। পরে লাশের ময়নাতদন্তের পর সোমবার রাতে বাবার বাড়ি গোপিনপুর গ্রামে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হাফজা আক্তারের (২৮) সঙ্গে একই উপজেলার বড়াইল গ্রামের ইসলাম মাদবর খোকনের ছেলে হানিফ মাদবরের (৩২) চার বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দুই অবুঝ ছেলে জায়েদ (৩) ও জাবেদ (৫ মাস) এখন নির্বাক। বিয়ের সময় ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, পাঁচ লাখ টাকার ফার্নিচারসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করেন কনের বাবা। পরে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার নবীনগর থানার জালালাবাদে বসবাস করতে শুরু করে এই দম্পতি। বিয়ের দু’বছর পর হতেই বাবার বাড়ি হতে টাকা-পয়সা এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে স্বামী হানিফ। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, যৌতুকের দাবিতে পাষ- স্বামীর হাতে স্ত্রী হালিমা আক্তার (২২) খুন হয়েছেন। ঘাতক স্বামী আরিফুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুই বছর পূর্বে কালিহাতী উপজেলার সল্লা দেওপুর এলাকার মজিবর রহমানের মেয়ে হালিমা আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অয়নাপুর চরখেদরীপাড়া এলাকার শফি মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আরিফুল স্ত্রী হালিমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলত। এরই প্রেক্ষিতে কিছুদিন পূর্বে হালিমা তার বাবার কাছ থেকে চার হাজার টাকা এনে দেন। এরপরও আরিফুল আরও টাকা চেয়ে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা আরিফুলের বাড়ি জনশূন্য দেখে পুলিশে খবর দেয়।
×