ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক চেতনা গড়ে তুলে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ করতে হবে ॥ গাফ্ফার চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

সামাজিক চেতনা গড়ে তুলে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ করতে হবে ॥ গাফ্ফার চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২৮ ডিসেম্বর ॥ একুশে গানের রচয়িতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, আইন করে জঙ্গীবাদ দমন করা যাবে না। দেশের মানুষকে সংঘবদ্ধ হয়ে সামাজিক চেতনা গড়ে তুলে এদের প্রতিরোধ করতে হবে। সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি তৈরি করতে টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন বলে জানা যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, কোন দেশপ্রেমিক বাঙালী তার দেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে তামাশা করতে পারে না। খালেদা জিয়া ও তার স্বামী চিরকাল পাকিস্তানী রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে এটাই প্রমাণ করলেন তিনি দেশ প্রেমিক নন। তিনি ভাড়াটে রাজনীতিক এবং পাকিস্তানের প্রেরণায় ও উৎসাহে পরিচালিত হন। এটা দেশদ্রোহিতা। অন্য কোন দেশ হলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিত। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর মহত্বের জন্য হয়ত কিছুই করবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, উনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করলেও কিছু হবে না, ক্ষমাও চাইবেন না। কারণ ওনার পিছনে আন্তর্জাতিক শক্তি রয়েছে। পাকিস্তান, সৌদি আবর ও আমেরিকার একটি অংশ তাকে উৎসাহিত করছে। দেশে সাম্প্রতিককালে জঙ্গী আস্তানার সন্ধান ও জঙ্গী তৎপরতার বিষয়ে কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, এটা আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদেরই অংশ। বাংলাদেশে এটা একটি বিশেষ চরিত্র নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ও দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে মদদ দিচ্ছে। যেহেতু বাঙালী জাতি চিরকালই ধর্মপ্রিয়, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়, সে কারণে এখানে জঙ্গীবাদ মাথা চাড়া দিতে পারছে না। সেই সঙ্গে হাসিনা সরকারের কঠিন প্রয়াস এদের দমন করে রেখেছে। এ কারণে তিনি যুব শক্তিকে সংঘবদ্ধ হয়ে সামাজিক চেতনা গড়ে তুলে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর সমাধান হবে শুধু আইন বা পুলিশ বা র‌্যাবও নয়, এর সঙ্গে জনশক্তি যোগ করতে হবে। জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুললে জঙ্গীবাদ নির্মূল করা যাবে। এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, টুঙ্গিপাড়া পৌর-মেয়র এস এম ইলিয়াস হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আক্কাস আলী ও জাতীয় কবি পরিষদের গোপালগঞ্জ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয় কবি-সাহিত্যিকগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। তার সফর সঙ্গী হিসেবে সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে বিনীতা চৌধুরী ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
×