ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তুর্কি সীমান্তে ট্যাঙ্কার ধ্বংসের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ

আইএসের তেল সাম্রাজ্যে রুশ বিমান হামলা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

আইএসের তেল সাম্রাজ্যে রুশ বিমান হামলা

তুরস্কের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের তেল চোরাচালানের ব্যবসা ধ্বংস করতে সফল বোমা বর্ষণ অভিযান চালানোর দাবি করেছেন ক্রেমলিন কর্মকর্তারা। রাশিয়া এ অভিযানের চমকপ্রদ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে জেনারেলরা তেল ট্যাঙ্কারের বিশাল বিশাল বহরের ওপর রুশ বিমানের হামলা চালানোর বিডিও ও ছবি দেখান। এসব ট্যাঙ্কার কালোবাজারে বিক্রির জন্য তেল পরিবহন করছিল বলে অভিযোগ করা হয়। কেবল গত সপ্তাহেই ক্রেমলিন ১৭টি এরূপ ট্রাক বহর ধ্বংস করেছে বলে দাবি করে। এটি ছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস) তেল ব্যবসার বিরুদ্ধে মস্কোর অভিযানেরই অংশ। সেপ্টেম্বরে সিরীয় যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হওয়ার পর রাশিয়া প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্কার নির্মূল করার কথা দাবি করে। রুশ সশস্ত্র বাহিনীর অন্যতম সিনিয়র কমান্ডার লে. জে. সের্গেই রুদস্কয় সাংবাদিকদের কাছে ছবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি রুশ বিমান হামলার ফুটেজ দেখাচ্ছিল এমন এক বিশাল ভিডিও স্ক্রিনের সামনে বসেছিলেন। এসব হামলায় ট্যাঙ্কারগুলো ঘন কালো ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হতে দেখা যায়। তবে রাশিয়ার ব্রিফিং তুরস্ককে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে এক পরিকল্পিত প্রচারণা ছিল কিনা বিশেষজ্ঞরা সেই প্রশ্ন তুলেছেন। তুর্কি সরকার সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অন্যতম প্রধান বৈরী। গত মাসে সিরীয় সীমান্তে তুরস্ক একটি রুশ বিমান ভূপাতিত করার পর ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে অবৈধ তেল ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ি এরদোগান ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্ত করে। এরদোগান এ অভিযোগ কখনও সত্য প্রমাণিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্তবর্তী জাঘো পয়েন্ট থেকে ১২ হাজার ট্রাককে তুরস্কে যাওয়া-আসা করতে দেখা যায়। এ পয়েন্টটি সিরিয়া ও উত্তর ইরাক সংলগ্ন তুর্কি সীমান্তের খুবই কাছে অবস্থিত। মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ বিমান হামলা এড়ানোর জন্য অনেক ঘোরানো পথ দিয়ে সেগুলো চলাচল করে। কিন্তু তুরস্কই চোরাচালান রুটের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল। লন্ডনের কিংস কলেজের রিসার্চ এ্যাসোসিয়েট ইলিয়ট হিগিনস টেলিগ্রাফকে বলেন, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বার বার মিথ্যাচার করছে, তাই তাদের কথার মূল্য নেই।
×