ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চার সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার দাপট

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

চার সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের ছেলে খেলা অব্যাহত রয়েছে। আড়াই দিনে প্রথম টেস্ট জয়ের পর দুই দিনেই বক্সিং ডে টেস্টে (দ্বিতীয়) নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে অসিরা। কেবল রানই নয়, মেলবোর্নে সেঞ্চুরির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিন জো বার্নস-উসমান খাজা, কাল দ্বিতীয় দিনে ট্রিপল ফিগার তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আর এ্যাডাম ভোগস। অভিষেক বছরে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের রেকর্ডে (১০২৮) নাম লিখিয়েছেন ভোগস, আর ১৪০৪ রান নিয়ে ২০১৫ সালে সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন স্মিথ। ৩ উইকেটে ৫৫১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৯১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে থাকা ক্যারিবীয়রা। নিজেদের স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের হয়ত আফসোসই হবে। কেন যে জেরমে টেইলরকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন, একটু ধরে খেললেই ক্যারিয়ার খাতায় যোগ হতো আরও এক সেঞ্চুরি! তিনি বাদে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যারা ব্যাট হাতে নেমেছেন তারা প্রত্যেকেই যে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন! বার্নস, খাজা, স্মিথ, ভোগস সবাই। ওয়ার্নারের আফসোসের কারণটা এখানেই। ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া কাল আর কোন উইকেট না হারিয়েই করেছে ৫৫১। সুপার স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৩৪। এর মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালে ৬ সেঞ্চুরির সাহায্যে সর্বোচ্চ ১৪০৪ রান করলেন অসি অধিনায়ক। পেছনে ফেললেন এ্যালিস্টার কুককে (১৩৫৭)। ম্যাচে কম যাননি ভোগসও, করেছেন ১০৬*। স্মিথ তার ইনিংসটি সাজান ৮ চার দিয়ে, সেঞ্চুরির পথে ভোগসের চার ১২টি। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২২৩ রান যোগ করেন দু’জনে। উইন্ডিজ বোলারদের জন্য উইকেটহীন দিনটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দুঃস্বপ্ন ইনিংসের জবাব দিতে নেমেও। স্কোর বোর্ডে ৯১ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ক্যারিবীয়রা। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখেছেন ৭৫ বলে ১৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা ড্যারেন ব্রাভো। উইকেটে থিতু হওয়ার আগে সাজঘরে ক্রেইগ ব্রেথওয়েট (১৭), রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা (২৫), মারলন স্যামুয়েলস (০), জারমেইন ব্লাকউড (২৮), দিনেশ রামদিন (০) ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (০)। অসি বোলিং-তোপে তিন ব্যাটসম্যান রানের খাতা খুলতে পারেননি। এর মধ্যে পর পর দুই বলে রামদিন আর হোল্ডারকে ফিরিয়ে অতিথিদের গর্তে ঢুকিয়েছেন পিটার সিডল। সিডল, জেমস প্যাটিনসন, নাথান লেয়ন প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে দ্রুততম ১ হাজার রানের রেকর্ডে সেরা চারে কিংবদন্তিদের পাশে নাম লিখিয়েছেন ৩৬ বছরের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান। ১৩ ইনিংসে এ মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ডটা স্যার ডন ব্রাডম্যানের দখলে, ১৪ ইনিংসে নিল হার্ভে দ্বিতীয় স্থানে। তিনে থাকা সিড বার্নসের লেগেছিল ১৭ ইনিংস। আর চতুর্থ স্থানে থেকে হারভি কলিন্স, ডগ ওয়াল্টার্স ও মার্ক টেইলরের মতো কিংবদন্তির পাশে নাম লেখাতে ১৮ ইনিংস খেললেন ভোগস। কেবল তাই নয়, অভিষেক বছরে রান তোলার দিক দিয়ে রেকর্ড বইয়ের দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ৩ জুন’২০১৫ এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ভোগস। সেঞ্চুরি ৪টি। এ তালিকায় সবার ওপরে মার্ক টেইলর (১২১৯ রান, ১৯৮৯ সাল)।
×