ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবাদ জানাতে সবাই খালেদার বাড়ির সামনে যান ॥ জয়

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রতিবাদ জানাতে সবাই খালেদার বাড়ির সামনে যান ॥ জয়

অনলাইন ডেস্ক ॥ মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদ খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে গিয়ে জানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। “আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, খালেদার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে যান। বিএনপি এবং তাকে দেখান যে তার পাকি প্রভুরা এবং জামায়াতি পোষা গুণ্ডারা আমাদের ভাই এবং বোনেদের যে হত্যা করেছে, সেই স্মৃতি অপপ্রচার চালিয়ে মুছে ফেলা যাবে না। আমার সাথে একত্রে দাবি জানান, খালেদা পাকিস্তানে ফিরে যা।” আজ শনিবার নিজের ফেইসবুক পাতায় স্ট্যাটাসে এই লিখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি জয়, যার জন্ম একাত্তরে। বিএনপি চেয়ারপারসন গত ২১ ডিসেম্বর দলের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকেও কটাক্ষ করেন। জয় লিখেছেন, “আমি ক্ষুব্ধ যে বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। খালেদা নৃশংস পাক আর্মি ও তাদের সহযোগী খুনি জামায়াত-ই-ইসলামী কর্তৃক আমাদের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাকে পাকিস্তানিদের মতোই কমিয়ে বলে আসছে। “সে দাবি করছে, মাত্র কয়েক শত হাজার হত্যা হয়েছে। আজ বিএনপি এমনকি সেই মৃতের সংখ্যার উপর জনমত জরিপ করতে বলছে!” স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে ফিরে যেতে বলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয় । “স্বীকৃত সত্য সব সময়ই সত্য। সেটা কখনও জরিপ দিয়ে নির্ণিত হয় না। ৩০ লাখ পুরুষ, নারী এবং শিশুকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। হিন্দুদের নির্যাতন ও দেখামাত্র গুলি করা হয়েছিল। সমস্ত গ্রাম উজাড় করে ফেলা হয়েছিল। এসব ছিল গণহত্যা,” বলেছেন জয়। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “খালেদা এখন আবারও এইসব খুনিদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছে। সে নৃশংসতার শিকার মানুষগুলোর মন্ত্রী বানিয়েছে সেই খুনিদেরই। সে এখন থুতু ফেলেছে ৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং থুতু ফেলেছে আমাদের দেশের মুখে। “এরপর আমার আর এই মহিলার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই। আমি ঘৃণা করি যে সে কোনো সময় আমাদের জাতির প্রধানমন্ত্রী ছিল। সে একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। সে বারবার আইএসআই এজেন্টদের সাথে মিলিত হয়েছে এবং নির্বাচনগুলোতে আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে। তার বাংলাদেশ থেকে বিদায় হওয়া এবং তার ভালোবাসার পাকিস্তানে গিয়ে থাকা উচিৎ।”
×