অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরাকের রামাদি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের তাড়িয়ে দেওয়ার লড়াই দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে।
বুধবার বিবিসি জানায়, ইরাকের বিশেষ বাহিনীর সেনারা রামাদি শহরের পথে পথে জঙ্গিদের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই সরকারি বাহিনীর হাতে শহরটির নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে বলে আশাবাদি ইরাকি কর্মকর্তারা।
তবে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানরত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মুখপাত্রের ধারণা, সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে।
ইরাকি বাহিনী রামাদির প্রধান সরকারি কমপ্লেক্সের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও লক্ষ্যভেদীদের নিশানার মুখে পড়ছে।
মে মাসে আইএস যোদ্ধাদের হাতে রামাদির পতন হয়। ইরাকি বাহিনীর জন্য এটি একটি বিব্রতকর পরাজয় ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল স্টিভ ওয়ারেনের হিসাবে রামাদিতে এখনও ৩৫০ জনের মতো আইএস যোদ্ধা রয়েছেন, এর পাশাপাশি শহরটিতে প্রায় লাখখানেক বেসামরিক বাসিন্দা রয়েছেন।
মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য আইএস শহরের বাসিন্দাদের জড়ো করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার জানান, কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ পাওয়া ইরাকি সামরিক বাহিনীর রামাদি আক্রমণ একটি কার্যকরী অভিযান হতে যাচ্ছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের প্রথমদিকে তিকরিতের পুনঃনিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অভিযানে ইরাকি বাহিনী শক্তিশালী শিয়া বেসামরিক বাহিনীর সহায়তা নিয়েছিল, কিন্তু রামাদি অভিযানে তারা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় সহায়তা নিয়ে সেনা ও মিত্র ক্ষুদ্র সুন্নি নৃগোষ্ঠীগুলোর বেসামরিক যোদ্ধারা ইতোমধ্যেই রামাদির দুটি এলাকার দখল নিয়েছে ও অপর দুটি এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: