ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফেরাটা সহজ ছিল না ॥ যুবরাজ

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

ফেরাটা সহজ ছিল না ॥ যুবরাজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ১ বছর ৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন যুবরাজ সিং। ভারতের আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে টি২০তে নেয়া হয়েছে দেশটির আধুনিক সময়ের অন্যতমসেরা অলরাউন্ডারকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করে নির্বাচকদের নজর কাড়েন ৩৪ বছর বয়সী তারকা। তবে ওয়ানডে দলে জায়াগা ন হওয়ায় হতাশা রয়েছে। আপাতত অস্ট্রেলিয়া সফর ও ঘরের মাটিতে আসন্ন ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপকে টার্গেট করছেন ক্যান্সার জয় করে বাইশ গজে ফেরা মৃত্যুঞ্জয়ী যুবরাজ। ফের জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়া কতটা কঠিন ছিল- এমন প্রশ্নের উত্তরে যুবরাজ বলেন, ‘ফেরাটা মোটেই সহজ ছিল না। ঠিক যে বিষয়গুলো আশা করছিলাম সেটি হচ্ছিল না। এ সময় পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। বিশেষ করে মা, আমার গুরুজি, কাছের বন্ধুবান্ধব। তারা সবাই আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করতে শুরু করি।’ অস্ট্রেলিয়া সফর ক্যারিয়ারের গন্তব্য ঠিক করে দেবে বলেও মনে করেন তিনি। যুবি যোগ করেন, ‘জানি, সফরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমার কাছে আগামী কয়েকটা বছরই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই খেলি ভাল করতে হবে। তবে ভক্তদেরও বোঝা উচিত, যুবরাজের প্রত্যাবর্তনটা সহজ হবে না। নেমেই ছক্কা মারা সহজ নয়। আমাকে গুছিয়ে ওঠার জন্য কয়েকটা ম্যাচ সময় দিতে হবে।’ কিন্তু ভারতের মতো ক্রিকেটপাগল জাতির কি আর ধৈর্য হবে? ‘চাপ তো থাকবেই। জানি টি২০ মানে দ্রুত রান তুলতে হবে। আমি নিজেকে তৈরি করতে চাই। এ জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর টার্নিং হবে। তবে আমার লক্ষ্য টি২০ বিশ্বকাপ।’ এই পর্যায়ে এসে ক্যারিয়ারের অদ্ভুত সন্ধিক্ষণের বিষয়টা বুঝতে পারছেন, ‘আশা করছি নতুন বছরে সাফল্য পাব। দেশকে গর্বিত করতে পারব। ক্রিকেট ভালবাসি বলেই ক্যান্সারের হাত থেকে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে এসছি।’ ওয়ানডে দলে সুযোগ না পাওয়ায় কিছুটা হতাশা ঝড়ে যুবির কণ্ঠে, ‘আমি তো ভাল খেলছিলাম। বিজয় হাজারেতে (রঞ্জি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট) বেশ কয়েকটা নব্বই করেছি। বোলিংও করেছি। নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছিলাম। কিন্তু আমার তো কিছু করার নাই। এটা নির্বাচকদের হাতে। আমাকে এখন কেবল টি২০তে মন দিতে হবে। ওখানে ভাল করতে হবে।’ ঘরোয়া ক্রিকেটের সম্প্রতি পারফর্মেন্স বাইরে রাখলেও, যে জীবনযুদ্ধে তিনি লড়েছেন, মাঠে ফিরেছেন, তাতে সুযোগ না পেলে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবুই এই লড়াই নয়, ক্যান্সারের পর যুদ্ধটাকেই বড় করে দেখা যুবরাজ বলেন, ‘এই দেড় বছরের লড়াইটা নয়, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ওই লড়াইটাই ছিল আমার জীবনের কঠিনতম লড়াই।’ শরীর চলত না। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। শূন্য থেকে সব কিছু শুরু করতে হয়েছিল। একেক সময় জীবন কিভাবে নিজেকে অনুপ্রেরণা দেয় নিজেই যেন সেটি বুঝতেন না। যুবির ভাষ্য, ‘নিজেকে তখন একটাই কথা বলতাম, যুবরাজ, তোমাকে আবার ভারত জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হবে। ফিটনেস ট্রেনিং তো বটেই, অনেক অনেক অনেক দৌড়তাম। চিকিৎসার পর ফিট হতে ওটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০১৪Ñএর মার্চে যুবরাজ দেশের জার্সিতে সর্বশেষ খেলেছেন, ঢাকায় টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওই ম্যাচে খুব ধীর গতির ব্যাটিংয়ের জন্য দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল। লঙ্কানদের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ধূলিসাত হওয়ায় অনেক সমালোচনাও সইতে হয়েছিল। ১২-২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত ৫ ওয়ানডে ও ৩ টি২০ খেলবে।
×