ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে পুুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে পুুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমায় ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের (মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস) মূলধনকে অন্তর্ভূক্ত না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারির ফলে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। একইসঙ্গে লেনদেনেও বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। পুজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে রবিবার জারি করা এ প্রজ্ঞাপনের ফলে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর ৫ হাজার ৮শ কোটি টাকার বেশী বিনিয়োগ সক্ষমতা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোর ওপর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপ কমেছে। এ কারণে বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একই সঙ্গে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমার নীচে রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে শেয়ার কিনতে পারবে। ফলে বাজারে এক ধরনের আশার আলো তৈরি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবারে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সব ধরনের সূচকই বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশের ওপরে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রজ্ঞাপন জারির পরে সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে প্রথম ৫ মিনিটেই সূচক বেড়েছিল ৫৬ পয়েন্ট। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬৭.৩৩ পয়েন্ট। সূচক বাড়ার এ হার ১.৪৯ শতাংশ। দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৭৮.৮৭ পয়েন্টে। দিনটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২০ টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ২৪৭টির, কমেছে ৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর। এ হিসাবে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭৭ শতাংশের দর বেড়েছে। এদিকে সূচকের বড় ধরনের উর্ধগতির পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। সোমবার দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ৮ কার্যদিবস পর ডিএসইতে ফের ৪০০ কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয়েছে। রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ হিসাবে রবিবারে তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেন বাড়ার এ হার ৪০.৫২ শতাংশ। সোমবারে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে কাশেম ড্রাইসেল। দিনশেষে কোম্পানিটির ১৭ কোটি ২১ লাখ ৪১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। ১৪ কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- কেডিএস এক্সেসরিজ, বিএসআরএম স্টিল, এমারল্ড অয়েল, আফতাব অটোমোবাইলস, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফনিক্স ফাইনান্স, গ্রীন ডেল্টা, বারাকা পাওয়ার, মেঘনা লাইফ, ইসলামী ফাইনান্স, ন্যাশনাল হাউজিং, এ্যাপেক্স স্পিনিং, রিজেন্ট টেক্সটাইল, জিএসপি ফাইনান্স ও কেডিএস এক্সেসরিজ। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আজিজ পাইপস, লিব্রা ইনফিউশন, প্রগেসিভ লাইফ, মুন্নু সিরামিক, বিডি অটোকারস, আইসিবি ১ম এনআরবি, ঝিল বাংলা, হাক্কানী পাল্প, ৪র্থ আইসিবি ও কাসেম ড্রাইসেল। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ১২৫.২৬ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮ হাজার ৫০৯.৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৮টির, কমেছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : রিজেন্ট টেক্সটাইল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, কেডিএস এক্সেসরিজ, বে´িমকো ফার্মা, ইফাদ অটোস, বিএসআরএম স্টিল, ফার কেমিক্যাল, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড এয়ার ও কাসেম ড্রাইসেল।
×