ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক স্ত্রীসহ আটক ৫

বিয়ের দু’দিন পর স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

বিয়ের  দু’দিন পর  স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২০ ডিসেম্বর ॥ কালিয়াকৈরে বিয়ের দুই দিন পর রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলো রংপুরের পালিছড়া সর্দারপাড়ার নাজির বাউরার ছেলে বিল্লাল (২২) ও তার নতুন বউ মর্জিনা (২০)। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির মালিকের স্ত্রী কাদনী বেগম ও শ্যালক মজনু মিয়া, নিহত বিল্লালের প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম, ভাবি আনিসা বেগম ও শ্যালককে আটক করেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কালিয়াকৈরের উলুসাড়ার বাদশা মিয়ার বাড়িতে বিল্লাল প্রথম স্ত্রী আসমা ও ৫ বছরের ছেলে রাসেলকে নিয়ে ভাড়া থেকে এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বিল্লালের সঙ্গে একই বাসার অপর ভাড়াটে মর্জিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রী আসমার সঙ্গে বিল্লালের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে প্রায় ১৫ দিন আগে আসমা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে গত ১৭ ডিসেম্বর মর্জিনাকে বিল্লাল বিয়ে করে। বিল্লাল ও মর্জিনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। কালিয়াকৈরের আয়মন গার্মেন্টসের কর্মী মর্জিনার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। এদিকে, দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে শনিবার রাতে বিল্লালের প্রথম স্ত্রী ও শ্যালক ঘটনাস্থলে আসে এবং বিল্লাল ও মর্জিনার সঙ্গে তাদের বাক-বিত-া হয়। স্থানীয়রা জানায়, ঋণের ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়ি মালিকের শ্যালক বিল্লাল ও মর্জিনাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। রবিবার তালা খুলে দু’জনকেই ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে বিল্লালকে এবং গামছা পেঁচিয়ে মর্জিনাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখা যায়। স্থানীয়রা দম্পতিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ রবিবার রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল মর্গে পাঠায়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মালিকের স্ত্রী কাদনী বেগম ও শ্যালক মজনু মিয়া, নিহত বিল্লালের প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম ও শ্যালক, বিল্লালের বড় ভাই আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী আনিসা বেগমকে আটক করেছে। কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা সে বিষয়ে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে এ মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়।
×