ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসকন মন্দিরে হামলা

পাঁচ জেএমবি সদস্য চিহ্নিত ॥ শরিফুলের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

পাঁচ জেএমবি সদস্য  চিহ্নিত ॥ শরিফুলের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ জেলার বীরগঞ্জে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটক জেএমবি সদস্য মোসাব্বেরুল আলম খন্দকারকে পুলিশের কাছ থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইসকন মন্দিরে মামলার পর পালিয়ে থাকা অপর জেএমবি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন জানান, জেলার কাহারোল, বীরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় চলমান কয়েকটি নাশকতার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। অপরাধীরা জেএমবি সদস্য হওয়ায় এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি ডিবি পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিডিনিউজ জানায়, মন্দিরে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) স্থানীয় নেতা শরিফুল ইসলাম বিচারকের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই বজলুর রশিদ জানান, শরিফুল শনিবার সন্ধ্যায় জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাজমুল হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। তিনি বলেন, “বিচারকের কাছে দেয়া জবানবন্দীতে মন্দিরে গুলি ও বোমা ছোড়ার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে শরিফুল। পুলিশ সূত্র জানায়, “এগুলো জেএমবির কাজ, এর পক্ষে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।” অন্যদিকে, দিনাজপুরের ডিবি পুলিশ পরিদর্শক রেদওয়ানুর রহিম জানান, রবিবার এই মামলাটির নথিপত্র তিনি গ্রহণ করেছেন। মামলাটির তদন্ত তিনি নিজে করবেন। এই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি জেএমবি সদস্য মোসাব্বেরুল আলম খন্দকারকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজাউল বারীর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। রবিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে মোসাব্বেরুল আলম খন্দকারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর ও সদর উপজেলায় পালিয়ে থাকা ৫ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। পালিয়ে থাকা জেএমবি সদস্যদের মধ্যে চিরিরবন্দরের হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলে রাব্বী, সদর উপজেলার তোজাম্মেল হক তোজা, আব্দুর রশিদ বিন মকবুল ও আবু রাজিন মোঃ আব্দুল মতিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এরা সকলেই গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্রটি জানায়। জেএমবি নেতা শরিফুলের জবানবন্দি ॥ খবরে বলা হয়, “দিনাজপুর জেএমবির অন্যতম এই লিডার শরিফুল ইসলাম কার নির্দেশে এবং কত জনকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে হামলা করে- জবানবন্দীতে তাও বলেছে।” তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে চাননি গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
×