রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে রাশিয়া তার সামরিক সক্ষমতার চেয়ে অনেক কম শক্তি ব্যবহার করেছে। আমাদের অন্য জিনিসও আছে। প্রয়োজন হলে তা ব্যবহার করব। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি পরিকল্পনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন পাওয়ার একদিন পর শনিবার এসব কথা বললেন পুতিন। খবর বিবিসির।
সিরিয়ায় পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো সিরীয়। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতৃত্বে ১৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপ (আইএসএসজি) জেনেভা ও ভিয়েনা বৈঠকে গৃহীত পরিকল্পনা নিয়ে গত শুক্রবার নিউইয়র্কে আবার বৈঠক করে। সেখানে সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধীদের যত দ্রুত সম্ভব, পারলে আগামী জানুয়ারির মধ্যেই এক টেবিলে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই নিরাপত্তা পরিষদে এ পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। পরিকল্পনা মতো যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সিরিয়ার দুই পক্ষকে আলোচনায় আনা সম্ভব হলে দেশটিতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শক্তিগুলোর একমাত্র লক্ষ্যবস্তু হবে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ জঙ্গী সংগঠনটি সিরিয়া এবং তার প্রতিবেশী ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে আছে।
৩২০ বিদেশী গুপ্তচর শনাক্ত ॥ রাশিয়ার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস চলতি বছরে দেশটিতে ৩২০ জন বিদেশী গুপ্তচর এবং তাদের অনুচর শনাক্ত করেছে। ‘গোয়েন্দা কর্মীদের দিবস’-এর আগে দেয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশটিতে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক ৩০টি ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী তৎপরতায় বিশেষভাবে জোর দেয়ার জন্য রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানান তিনি। পুতিন বলেন, কোন কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা রাশিয়ায় তাদের তৎপরতা জোরদার করছে। বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা এবং তাদের অনুচরদের যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য রাশিয়া প্রস্তুত বলেও এ সময় ঘোষণা করেন তিনি। রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশটিতে দুর্নীতি, জালিয়াতিবিরোধী লড়াই এবং সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রুশ সশস্ত্রবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের সঙ্গেও সহযোগিতা করা উচিত।