ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উদ্বোধন হচ্ছে পয়লা জানুয়ারি

এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ২১ দেশ অংশগ্রহণ করছে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ২১ দেশ অংশগ্রহণ করছে

এম শাহজাহান ॥ প্রকল্প গ্রহণের পর গত আট বছরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা যায়নি। তাই এবারও রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পয়লা জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এবারের মেলায় বিশ্বের ২১টি দেশ সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া এই একুশটি দেশের পাশাপাশি বিদেশী উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও বিনিয়োগকারীদেরও এবারের মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিএফটিআই) মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনের সঙ্গে বিনিয়োগ আকৃষ্টের একটি প্রয়াস থাকবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় বাণিজ্য মেলায় ব্যবসায়ীরাও ভাল ব্যবসা করবেন বলে তাঁরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরের ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ ব্যবস্থাপনায় মেলা চলবে ৩০ দিন। ইপিবি জানিয়েছে, মেলায় ১৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৪৬টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন ক্যাটাগরিতে মোট স্টল থাকবে ৩৪৭টি। জেনারেল, রিজার্ভ ও বিদেশী এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ১১২টি। এছাড়া থাকবে ৫৬টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৬টি ফুড স্টলসহ পাঁচটি রেস্তরাঁ। এছাড়া দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ২১টি দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, জাপান, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অষ্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, মরিশাস, ঘানা ও মরোক্কো। গত বছরের মতো এবারও মেলার গেটের ডিজাইন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মতো। মেলায় এবারও থাকছে মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ, রেডিমেট গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাট ও পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ক্রোকারেজ, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হার্বাল ও প্রসাধন সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্টনিক্স সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার স্টল। এদিকে, মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৮০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা মেলার বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হচ্ছে। এতে মেলার এলাকা নজরদারিতে রাখা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও বেসরকারী সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এ প্রসঙ্গে ইবিপির পরিচালক মোঃ ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, মেলায় এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে ভাল মতো কেনাকাটা করতে পারেন সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মেলার প্রবেশ ফি হিসেবে প্রাপ্তবয়স্কদের ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আট বছরে হয়নি স্থায়ী কমপ্লেক্স ॥ প্রকল্প গ্রহণের পর গত আট বছরে হয়নি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স। মাঠ নির্মাণের নামে ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯শ’ কোটি টাকা। কিন্তু ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।
×