ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের কল্যাণী নাট্যকেন্দ্রের উৎসব

প্রাঙ্গণেমোরের ‘শেষের কবিতা’

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রাঙ্গণেমোরের ‘শেষের কবিতা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোরের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘শেষের কবিতা’। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর ঋত্বিক সদন মঞ্চে আগামী ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী নাট্যকেন্দ্রের আয়োজনে সংগঠনের একবিংশতিতম নাট্যোৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে প্রাঙ্গণেমোর। নাটক মঞ্চায়নের লক্ষ্যে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর ভারত যাচ্ছে প্রাঙ্গণেমোর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস থেকে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হিরা। নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। ‘শেষের কবিতা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, শুভেচ্ছা, ইস্টের সুমী, আউয়াল রেজা, সরোয়ার সৈকত, মাইনুল তাওহীদ, চৈতী, কারিমা, জাহিদ, আশা, রিগ্যান, সীমান্ত, মনির, বিপ্লব, ঊষা। ‘শেষের কবিতা’ নাটকের গল্পে দেখা যায় শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমুখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দুর্লভ অবসরে দু’জন দু’জনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিণতি ভালবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাশ করবে, এমনি করেই তাঁর জীবন কাটবে ভেবেছিল সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিষ্কার করল সেও ভালবাসতে পারে। আর অমিত তো মেয়েদের কাছে সোনার রঙের দিগন্ত রেখা, ধরা দিয়েই আছে, তবু ধরা দেয় না। রুচির তৃঞ্চা মিটিয়ে কত সুন্দরী মেয়েদের পাশ কাটিয়ে এসেছে এতকাল। সেই অমিত বন্দী হলো লাবণ্যর প্রেমে। অমিত লাবণ্যকে বিয়ে করতে অস্থির হয়ে ওঠে। কিন্তু লাবণ্যর মন তাতে সায় দেয় না। অনেক তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমানের পর অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, ঠিক সেই সময় অমিতের বন্ধু কেতকী শিলং গিয়ে উপস্থিত হয়। কেতকীর সঙ্গে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল এবং সে সময়টাতে অমিত কেতকীকে ভালবেসেই একটি আংটি পরিয়েছিল। লাবণ্যর সঙ্গে অমিতের বিয়ের খবর শুনে কেতকী সে আংটি খুলে রাগে অভিমানে অশ্রুসিক্ত নয়নে শিলং ছেড়ে চেরাপুঞ্জি চলে যায়। অমিত যে আংটিটি লাবণ্যকে পরিয়েছিল সেটিও লাবণ্য ফিরিয়ে দেয় অমিতকে অর্থাৎ অমিত দু’জনের কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অমিত কি করবে ভেবে পায় না। ক’দিন পর চেরাপুঞ্জি থেকে ফিরে এসে অমিত দেখে লাবণ্য চলে গেছে শিলং ছেঁড়ে। অমিত ফিরে যায় কলকাতায়। তারও কিছুকাল পরে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয় কেতকীর এবং তারও কিছুদিন পর লাবণ্যর একটি চিঠি আসে অমিতের কাছে। সে চিঠির এক পাশে ছয়মাস পর শোভনলালের সঙ্গে লাবণ্যর বিয়ের খবর। আর চিঠির অন্য পাশে অমিতের জন্য লেখা একটি দীর্ঘ কবিতা- যেনো বহতা দীর্ঘশ্বাস। এভাবেই শেষ হয় নাট্যকাহিনী।
×