ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গুগল সার্চ বাংলাদেশে মুস্তাফিজ, ভারতে কোহলি শীর্ষে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

গুগল সার্চ বাংলাদেশে মুস্তাফিজ, ভারতে কোহলি  শীর্ষে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ২০১৫ সালটি যেমন সাফল্যে মোড়ানো। তেমনি এ বছরই অভিষেক হওয়া পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের জন্যও সাফল্যম-িত। এ বছর যে বাংলাদেশে গুগলে সার্চ হয়েছে, সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে মুস্তাফিজকেই। এটিও ‘কাটার’ খ্যাত এ পেসারের আরেকটি বড় সাফল্য। বাংলাদেশে যেখানে মুস্তাফিজ গুগল সার্চে শীর্ষে আছেন, তেমনি ভারতেও একজন ক্রিকেটারই সেই স্থানটি দখল করে নিয়েছেন। তিনি বিরাট কোহলি। ১৯ বছর বয়সেই ক্রিকেট বিশ্বে পদার্পণ করেই ঝলক দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। ২২ গজে একের পর এক তাক লাগানো রেকর্ড করার পর এবার ২২ গজের বাহিরেও রেকর্ড গড়ে বসলেন তিনি। গুগল সার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে বেশি খোঁজা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উদীয়মান তারকা মুস্তাফিজুর রহমানকে। এরপরেই খোঁজা হয়েছে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে। গুগল সার্চ ২০১৫ তে বাংলাদেশের ব্যক্তিদের খোঁজার তালিকায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের আরও এক বোলার তাসকিন আহমেদ। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। একনজরে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি গুগলে খোঁজা ব্যক্তিদের তালিকায় ১ নম্বরে মুস্তাফিজুর রহমান রহমান, ২ নম্বরে এপিজে আব্দুল কালাম, ৩ নম্বরে রাধিকা আপটে, ৪ নম্বরে তাসকিন আহমেদ, ৫ নম্বরে এরিয়েল উইন্টার, ৬ নম্বরে রন্ধা রুশি, ৭ নম্বরে সায়েম সাদাত, ৮ নম্বরে সানি লিওন, ৯ নম্বরে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও ১০ নম্বরে আছেন কারিশমা তান্না। লিওনেল মেসি বিশ্বের সেরা এ্যাথলিট। সন্দেহ নেই। কিন্তু সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদের তালিকার শীর্ষ নামটা তার নয়, বিরাট কোহলির! এমনটাই বৃহস্পতিবার জানিয়েছে গুগল ইন্ডিয়া। এই সার্চ ইঞ্জিনটি প্রকাশ করেছে গুগলে খোঁজা শীর্ষ ক্রীড়াবিদদের তালিকা। সেই তালিকায় সবার শীর্ষে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক কোহলি। দুই নম্বরে আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার বিশ্ব ফুটবল তারকা মেসি। দুই বছর হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন শচীন টেন্ডুলকর। কিন্তু এখনও গুগলে তাকে খুব করে খোঁজা হয়। প্রমাণ, এই তালিকার তিন নম্বর নামটি টেন্ডুলকরের। তিনি এগিয়ে আছেন ভারতের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির চেয়েও। ধোনি আছেন তালিকার চার নম্বরে। পর্তুগাল ও রিয়াল মাদ্রিদের সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আছেন পাঁচ নম্বরে। সুইজারল্যান্ডের টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার তালিকার ছয় নম্বরে। ভারতের টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা ২০১৫ সালে ১০টি শিরোপা জিতেছেন। শীর্ষ দশে থাকা একমাত্র নারী খেলোয়াড় তিনি। তার অবস্থান সাত। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক ভারতের ব্যাটিং সুপারস্টার রোহিত শর্মা আছেন আট নম্বরে। অনেকদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। ভারত দলে জায়গা হচ্ছে না। অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং তবু নয় নম্বরে। আর দশম জায়গাটি বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় সার্বিয়ার নোভাক জকোভিচের। ফাইনাল খেলবেন নেইমার? স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কুঁচকির ইনজুরির কারণে নেইমার ও পেটে পীড়ার কারণে লিওনেল মেসি ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি। তবে ভক্তদের জন্য সুখবর, রবিবারের ফাইনালে এই দুই মহাতারকার খেলার সম্ভাবনা আছে। শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক অনুশীলন করেছেন। তবে অনুশীলন করেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ধারণা করা হচ্ছে, ফাইনালে রিভার প্লেটের বিপক্ষে খেলবেন নেইমার। অনুশীলনে তাকে সিরিয়াস দেখা গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। অন্যদিকে সেমিতে খেলতে না পেরে হতাশ মেসিও ফাইনালের খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে দু’জনের কাউকে নিয়েই ঝুঁকি নিতে নারাজ বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। তিনি বলেন, আমি এখনও জানি না মেসি ও নেইমার ফাইনালে খেলবে কিনা। পরিস্থিতিই বলে দেবে কি করতে হবে। মুরালি-সাকলাইনের কোচ রফিক স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া ‘অলস্টারস টি২০’ সিরিজ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এরপরই কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে বড়সড় পরিসরে একটি টি২০ আসর আয়োজনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী বছর আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন্স লীগ (এমসিএল) টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম আসর। সেখানে থাকবে বিশ্ব ক্রিকেটের সাবেক তারকাদের ব্যাপক উপস্থিতি। তবে এ টুর্নামেন্টের নিলামে কোন সাবেক বাংলাদেশী ক্রিকেটারকে নেয়া হয়নি। কিন্তু সাবেক বাংলাদেশী স্পিনার মোহাম্মদ রফিক থাকতে পারেন কোচিং স্টাফে। টুর্নামেন্টের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি জেমিনি এ্যারাবিয়ান্স ইতোমধ্যেই সে বিষয়ে রফিকের সঙ্গে আলোচনাও করেছে সহকারী কোচ হিসেবে তাকে নেয়ার জন্য। আর এ দলটির হয়ে খেলবেন কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন ও সাকলাইন মুশতাক। সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া ক্রিকেটারদের মেলা বসবে আরব আমিরাতে। দেশটির তিন ভেন্যু- দুবাই, আবুধাবি ও শারজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলবে এমসিএল টি২০ আসর। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী ৬ দলের ক্রিকেটার নিলাম অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। প্রতি দলে ১৫ জন করে মোট ৯০ জন সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে নেয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কোন সাবেক ক্রিকেটার দল পাননি। কিন্তু ৬ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি চাইছে যেন এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের একটা প্রতিনিধিত্বও থাকে। জেমিনি এ্যারাবিয়ান্স দলের সহকারী কোচ হিসেবে তাই বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে আলোচনা করছে। এই দলটিতে আছেন পাকিস্তানী স্পিনার সাকলাইন ও লঙ্কান স্পিনার মুরালিধরন। এছাড়া কুমার সাঙ্গাকারা, শিবনারায়ণ চন্দরপল ও বীরেন্দর শেবাগের মতো বিশ্বতারকারাও এ দলটির হয়ে খেলবেন। জেমিনি এ্যারাবিয়ান্সের আইকন করা হয়েছে মুরালিধরনকে। এ দলটির প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) রাজেশ পুরী নিশ্চিত করেছেন তারা দলটির সহকারী কোচ হিসেবে রফিককে চাইছেন। রফিক বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম একজন সেরা স্পিনার। তিনি ৩৩ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়েছেন। আর ১২৫ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ১২৫ উইকেট। রফিককে সহকারী কোচ করার বিষয়ে রাজেশ পুরী বলেন, ‘দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী আছেন। তাদের কাছেও এ আসরের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও তাকে নিতে চাওয়াটা বড় কারণ। তাছাড়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তার যে সামর্থ্য ছিল সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিক প্রসারের ক্ষেত্রেও তার একটা ভাল ভূমিকা থাকবে। এমনকি আমরা তাকে খেলোয়াড় হিসেবেও মাঠে নামাতে পারব।’ রফিক নিজেও এমন একটি মর্যাদার আসরে যুক্ত হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তাদের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছি। কিন্তু অবশ্যই বলব এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটি প্রস্তাব।’ টি২০ বিশ্বকাপ ভারতকে মোকাবেলায় প্রস্তুত আফ্রিদি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়েছে পাকিস্তান। চিরশত্রুকে মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন ছোট্ট ফরমেটের পাক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘ভারতের মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপে ভারতকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আমরা। গ্রুপটি বেশ কঠিন, তবে আমরা ভিত নই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রতি আমাদের নজর রয়েছে। নিউজিল্যান্ড সফরের পর পরই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।’ পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার আরও যোগ করেন, ‘টি২০ একবার সুযোগের ম্যাচ, এখানে দ্বিতীয় সুযোগ নেই। আমরা সম্প্রতি কিছু ভুল করেছি, বিশ্বকাপের আগে সেগুলো শুধরে নিতে চাই।’ উল্লেখ্য, ওয়ানডে কিংবা টি২০Ñ বিশ্বকাপের কোন আসরেই ভারতের বিপক্ষে জয় নেই পাকিস্তানের। এবার সেটি বদলে দিতে চান আফ্রিদি। ১৯ মার্চ ধর্মশালায় গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। ভারত ম্যাচ নিয়ে আফ্রিদি আরও বলেন, ‘সবাই এই ম্যাচটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিশ্বকাপে কখনই আমরা ওদের হারাতে পারিনি, ম্যাচটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আশা করি অধিনায়ক হিসেবে দলের সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে পারব। আমরা বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়ে ফিরতে চাই।’ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান। আফ্রিদির মন্তব্যে সেই শঙ্কা দূর হলো।
×