ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যানজটমুক্ত রাস্তা

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

যানজটমুক্ত রাস্তা

সারাদেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সকল জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলো যানজটমুক্ত করতে একের পর এক পরিকল্পনা-মহাপরিকল্পনা যেমন- ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস, ফ্লাইওভার, চারলেন রাস্তা, রাস্তা প্রশস্তকরণ, ইউটার্ন বন্ধ, একদিকে চলাচল, যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধ, প্রধান সড়কগুলোতে রিক্সা চলাচল বন্ধ, সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নতকরণ, ট্রাফিক আইনের কড়াকড়িসহ আরও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণের পরও রাস্তা যানজটমুক্ত করা যায়নি। আর যাবে বলেও মনে হয় না। কারণ যতক্ষণ না গাড়িচালক আর যাত্রীদের মানসিকতার পরিবর্তন হবে। যানজট হওয়ার প্রধান প্রধান কারণ বলে প্রতীয়মান হয় সরু রাস্তার মধ্যেও ওভারটেকিংয়ের প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, একের অধিক তিন-চার লাইন গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়ানো, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, যাত্রীদের দ্রুত নির্দিষ্ট গন্ত্যবে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ এবং রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময়। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল সিএনজিচালিত গাড়ির প্রচলন, যে কারণে অল্প খরচে গাড়ি চালানোর উৎসবে হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় নামে। এর ফলে সৃষ্ট যানজটের কারণে বছরে কয়েক হাজার কর্মঘণ্টার ক্ষতি হয়। এই ক্ষতির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করলে আঁতকে উঠতে হয়। তার পাশাপাশি অসুস্থ রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। বিমান, বাস, ট্রেন ও স্টিমার ধরতে ব্যর্থ হতে হয়। এমনকি পরীক্ষার হলে পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণে শিক্ষাজীবন, চাকরিজীবন হুমকির মুখে পড়ে। ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা গণহত্যায় ক্ষমা প্রার্থনা ও একজন ইমাদুদ্দিন গত ১২ ডিসেম্বর “গণ হত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা” শিরোনামে আমার একটি লেখা দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত হয়। এ লেখায় গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের নিকট ক্ষমা চাইতে বলা হয়। পাকিস্তানের তরুণ সমাজ বাংলাদেশে পাকসেনা কর্তৃক গণহত্যার জন্য অনুতপ্ত হয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাকিস্তানী তরুণ সংগঠক ইমাদুদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহতার জন্য পাকিস্তানের বর্তমান তরুণ সমাজ বিশেষভাবে লজ্জিত বলে মত প্রকাশ করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠের শেষের পাতায় তার দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। ইমাদুদ্দিন আহমেদ ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছেন। পাকিস্তানী এই সচেতন তরুণ যুক্তরাজ্য ও পাকিস্তান থেকে “ আমরা পাকিস্তানী”- “বাংলাদেশের নিকট ক্ষমা চাই” শীর্ষক একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছেন। লন্ডনে বসবাসরত ৩২ বছর বয়সী পাকিস্তানী এই তরুল উদ্যোক্তা গণহত্যার ক্ষমা প্রার্থনায় কাজ করে সফল হচ্ছেন বলে দাবী করেন। পাকিস্তানীদের সম্মান বৃদ্ধির জন্যই সত্যকে স্বীকার করে অবিলম্বে পাকিস্তান সরকারকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন বর্তমান সময়ের অনেক তরুণ। ৩২ বছর বয়সী ইমাদুদ্দিন আহমদকে সত্য উপলব্ধি করে গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে পাকিস্তান সরকার, জনগণ ও তরুণ সমাজকে অবহতিপূর্বক কাজ করে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেছের আলী কয়কীর্তন, শ্রীনগর।
×