ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঠান্ডা বাড়িয়ে এলো পৌষ। শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। শরীরে উঠেছে গরম কাপড়। তাপমাত্রা কমে গিয়ে কনকনে শীত পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে দেশবাসী। বুধবার রাজধানীতে দিনভর অনুভূত হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শীত। তীব্র শীত পড়ার কারণে হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়েছে শীতের পোশাকের। নগরীর ফুটপাতসহ বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো । দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদরা। রাজধানীতে মৌসুমের সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে বুধবার। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক বেশি কাছাকাছি আসায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। পাশাপাশি রয়েছে ঘন কুয়াশা এবং কনকনে উত্তুরে হিমেল হাওয়া। রাজধানীতে হিমেল বাতাস বইছে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে। এমন অবস্থা আরও দু'তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তীব্র শীত, কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে দেশবাসীর দুর্ভোগের সীমা ছিল না। আবহাওয়া অফিস জানায়, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যত কাছাকাছি হবে শীত তত বেশি অনুভূত হবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যও বেশ কমে এসেছে। বুধবার দিনের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্র সেলসিয়াস কমে যায়। সূর্যরশ্মির স্বল্পতাও দিনের বেলায় বেশি শীত অনুভূত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। বুধবার দেশের বেশির ভাগ সেন্টারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করে। তবে বেশ কয়েকটি সেন্টারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
×