ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলেজছাত্রীর মুখমণ্ডল এ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

কলেজছাত্রীর মুখমণ্ডল এ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে চারটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার ধামরাই উপজেলার দুর্বৃত্তরা এক কলেজছাত্রীকে এ্যাসিড নিক্ষেপ করে তার মুখম-ল ঝলসে দিয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কলেজছাত্রীকে এ্যাসিড নিক্ষেপ ॥ ঢাকার ধামরাই উপজেলার টোপোরবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তের ছোড়া এ্যাসিডে এক কলেজছাত্রীর মুখম-ল ঝলসে গেছে। সোমবার রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ওই ছাত্রীর নাম মল্লিকা চক্রবর্তী (২৫)। তিনি কুশুরা ইউনিয়নের টোপেরবাড়ী গ্রামের স্বপন কুমার চক্রবর্তীর মেয়ে। তিনি মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আহত ছাত্রী জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার পাশে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বের হন। এ সময় আড়াল থেকে বোরখা পরা এক ব্যক্তি তার শরীরে এ্যাসিড ছুড়ে মেরে পালিয়ে যায়। এতে তার মুখম-ল ও শরীরের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। ধামরাই থানার ওসি রিজাউল হক জানান, মল্লিকা সোমবার রাতে নিজ বাড়িতে খাওয়ার পর বাড়ির পাশে চাপকলে পানি আনতে গেলে ‘অচেনা এক লোক’ তাকে এ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি জানান, এ ঘটনায় ধামরাই থানায় মামলা করা হয়েছে। কে কী কারণে এ্যাসিড ছুড়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক সার্জন ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানান, ‘সিমটম (লক্ষণ) দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি কেমিক্যাল বার্ন। শরীরের ৮ শতাংশ ঝলসে গেছে। অর্থাৎ পুরো মুখম-লই ঝলসে গেছে এই কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির। এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মতিঝিল এলাকা থেকে পৃথক ঘটনায় দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মতিঝিল থানার এসআই মহসীন আলী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিক মতিঝিল থানার ফকিরাপুল বাজারের আসমা আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার ২৭ নম্বর কক্ষ থেকে শাহাদাত হোসেন (২৭) নামে এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত শাহাদাত ওই হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান ও বাসাবাড়িতে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার বাবার নাম মৃত মনির হোসেন। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা এলাকায়। এসআই মহসীন আরও জানান, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। অন্যদিকে একই দিন বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মতিঝিল এজিবি কলোনির মসজিদ মার্কেটের সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক রিক্সাচালকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে মতিঝিল থানার এসআই মনিবুর রহমান জানান, সকালে ওই ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর পরই তার মৃত্যু হয়। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে এসআই মনিবুর রহমান জানান। অন্যদিকে এদিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে সড়ক দুঘর্টনায় অজ্ঞাতপরিচয় (২০) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান জানান, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ওই যুবককে রক্তাক্ত পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে সকাল ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরনে লাল-সাদা চেক শার্ট ও হলুদ প্যান্ট ছিল। এছাড়া সোমবার গভীর রাতে পুলিশ পুরানা পল্টনের একটি বাসা থেকে মহিবুল ইসলাম (৩০) নামে এক আইনজীবী সহকারীর লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক জানান, পুরানা পল্টনের ৬২/৫ নম্বর বাড়ি থেকে মহিবুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কোন আইনজীবীর সহকারী ছিলেন। এসআই মহিবুল ইসলাম আরও জানান, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত চলছে।
×