ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোটি কণ্ঠে ধ্বনিত হবে জাতীয় সঙ্গীত

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোটি  কণ্ঠে ধ্বনিত  হবে জাতীয়  সঙ্গীত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে আজ বিজয় দিবসে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কোটি কণ্ঠে ধ্বনিত হবে জাতীয় সঙ্গীত। কর্মসূচী ডাক দিয়েছে ‘বিজয় দিবস উদ্যাপন জাতীয় কমিটি।’ সারাবিশ্বের প্রবাসী বাঙালীরা ৪টা ৩১ মিনিটে একযোগে গাইবেন প্রাণের সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। এদিকে ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। পঞ্চগড়ে ছিটমহলবাসীর জন্য গ্রামীণফোন আয়োজন করেছে ‘প্রথম বিজয় উল্লাস’। জাতীয় সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় আয়োজন আজ ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে। সংবাদ সম্মেলন করে আগেই এ কর্র্মসূচীর কথা জানিয়েছেন, বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে সারাদেশে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে সারাদেশ থেকে সারাবিশ্বের বাঙালীরা একযোগে গাইবেন প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে আত্মসমর্পণ করেছিল বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী। এই বিজয়ের স্মৃতিকে ধরে রাখতেই এ আয়োজন। ২০১৩ সাল থেকে ঠিক এ সময়েই সারাদেশসহ বিশ্বব্যাপী লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিজয়ের উৎসবকে আগামীর প্রত্যয়ে পরিণত করে আসছে জাতীয় কমিটি। এ বছর দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-গ্রামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পাশাপাশি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশীদের এ কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান ডাঃ ইমরান। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের এ মুখপাত্র বলেন, এবার কেবল লাখো কণ্ঠে নয়, কোটি কণ্ঠে বিশ্বব্যাপী জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিকামী সকল মানুষ। জাতীয় সঙ্গীতের পবিত্র সুরে বিশ্বব্যাপী প্রতিহত করবেন যুদ্ধাপরাধ, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদী অপশক্তিকে। শপথ নেবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। এ বছর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় উৎসবের উদ্বোধন হবে সকাল ১১টায়। উদ্বোধন করবেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘আমাদের সংস্কৃতি’। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে কোটি কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে হবে ‘আগামী বাংলাদেশের শপথ’। শপথবাক্য পড়বেন বিজয় দিবস উদ্যাপন জাতীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল গাফফার চৌধুরী। বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিট থেকে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গান। এরপর আছে ‘বিজয় আতশ সন্ধ্যা’। সবশেষে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিজয় মঞ্চে হবে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদলের অংশগ্রহণে ‘কনসার্ট ফর ফ্রিডম’। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও ছায়ানটের আয়োজন আজ ॥ নব আঙ্গিকে যৌথভাবে বিজয় দিবস উদ্যাপন করবে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। আজ বুধবার বিজয় দিবসে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হবে এ আয়োজন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া ৪০ মিনিট ব্যাপ্তির অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে সব মিলিয়ে আটটি সম্মেলক গান। ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানে সবুজের বর্গাকার করে তার মাঝে লাল বৃত্তাকার গড়ে তুলে দাঁড়াবেন শিল্পীরা। ছিটমহলবাসীর জন্য ‘প্রথম বিজয় উল্লাস’ ॥ পঞ্চগড়ে ছিটমহলবাসীর জন্য গ্রামীণফোন আয়োজন করেছে ‘প্রথম বিজয় উল্লাস’। দীর্ঘ ৪৪ বছর অপেক্ষার পর এবারই প্রথমবারের মতো ছিটমহলবাসীরা বাংলাদেশী পরিচয়ে পালন করবে বিজয় দিবস। গৌরবোজ্জল মুহূর্তে পঞ্চগড়ের গাড়োতি স্কুল মাঠে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি থাকবেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে শত শত কণ্ঠে পরিবেশিত হবে বিজয়ের গান।
×