ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী ২০ জন

ভবিষ্যত অধিকার নিয়ে সৌদি নারীদের সতর্ক আশাবাদ

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

ভবিষ্যত অধিকার নিয়ে সৌদি নারীদের সতর্ক আশাবাদ

পথটা একেবারেই মসৃণ ছিল না। পদে পদে ছিল বহু কাঁটা। তবু স্বপ্নটা দেখতে ভোলেননি তারা। শনিবারের পৌরসভা ভোটে কেবল নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ নয়, পুরুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইও করেছেন সৌদি আরবের নারীরা। আর প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত জয় পেয়েছেন ১৯ নারী। তবে তাদের ভবিষ্যত অধিকার নিয়ে সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তারা। এবারই প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছে সৌদি নারীরা। এই ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক সৌদি নারী আবেগে উদ্বেলিত ছিলেন। রিয়াদে নারীদের জন্য একমাত্র ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের আগে উচ্ছ্বসিত ৩০ বছর বয়সী এক সরকারী নারীকর্মী জাওহার আল রাওইলি তার বন্ধুকে ফোনে বলেন, আমি ভোট দিতে যাচ্ছি। লতিফা আল বাজেই নামে ৫৩ বছর বয়সী অপর এক নারী বলেন, সব সৌদি নারীর জন্য এটি একটি বিশেষ দিন, তারা ভোট দিক বা না দিক। আমরা এই অধিকার অর্জন করেছি, যা থেকে আমাদের দীর্ঘদিন অনেক দূরে রাখা হয়েছিল। পৌরসভা কাউন্সিলের দুই-তৃতীয়াংশ আসনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি আসনগুলোতে সৌদি বাদশাহ সালমান নিয়োগ দেবেন। পৌরসভা কাউন্সিলরদের আইনপ্রণয়নের কোন ক্ষমতা নেই। আবর্জনা অপসারণ ও রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের মতো কিছু দায়িত্ব দেয়া হবে নির্বাচিত নারী ও পুরুষ কাউন্সিলরদের। তবে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অনুমতি মিললেও সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ আরও বহু ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে। নারীদের ভোটাধিকার দেয়া বিশ্বের সর্বশেষ দেশ সৌদি আরব। সৌদি নারীরা বলেছেন, তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিজয়কে অবমূল্যায়ন করা উচিত হবে না। দেশটিতে প্রথম নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন সালমা আল-রাশেদ। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, পরিবর্তন অনেক বড় বিষয়। কিন্তু নির্বাচন সেই পথ, যার মধ্য দিয়ে আমরা যে সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্ব করছি তা নিশ্চিত হবে। কিছু সৌদি নারী বলেছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যম তাদের অগ্রাধিকারগুলো পরিবর্তন করে দিচ্ছে। সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রায়ই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়। তবে সত্যিই তাদের অগ্রাধিকারের তালিকার প্রথমে নেই গাড়ি চালানোর বিষয়টি। নজদ আল-হাবাবি নামে এক নারী বলেন, গাড়ি চালানোর মতো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের বড় কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমি জানি পশ্চিমাদের জন্য গাড়ি চালানো অনেক বড় একটা ব্যাপার। কিন্তু আমাদের এজেন্ডাতে আরও অনেক বড় বিষয় রয়েছে। নজদের বোন হাইফা এ নির্বাচনে লড়েছেন। -ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর
×