ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নানা আয়োজনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

নানা আয়োজনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বীর বাঙালীর অসীম বীরত্বে তখন প্রায় নিশ্চিত পাকিস্তানের পরাজয়। পরাভবের সেই অন্তিম মুহূর্তে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো পাকবাহিনী। এদেশীয় দালাল ও দোসরদের সহায়তায় জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা নেয়া হলো। বিজয় দিবসের ঠিক দুইদিন আগে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। চৌদ্দই ডিসেম্বর সোমবার ছিল সেই বিভীষিকাময় দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিনটিতে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হলো সেসব মেধাবী মানুষদের। রাজধানীজুড়ে নানা আনুষ্ঠানিকতায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি নিবেদন করা হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি। বিশিষ্টজনদের আলোচনায়, সেলুলয়েডের পর্দায়, কবিতার ছন্দে, নাটকের সংলাপে কিংবা শিল্পীর মনন আশ্রিত শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে সূর্য সন্তানদের জানানো হয় হৃদয়ের ভালবাসা। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে একক বক্তৃতার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একক বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আবু হেনা মোস্তফা কামাল রচিত ‘মুনীর চৌধুরীর প্রতি খোলা চিঠি’ থেকে পাঠ করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। কবিতা আবৃত্তি করেন কাজী মদিনা। সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। এছাড়া সকালে একাডেমির পক্ষ থেকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। একক বক্তৃতায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একাত্তরে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা ব্যক্তিগত আক্রোশে নয় বরং সমষ্টিগত স্বপ্নের কারণে পাকিস্তানী হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন। বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যে ভাষাভিত্তিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুদ্ধিজীবীরা দেখেছিলেন সে স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশেও অধরা রয়ে গেছে। সমাজে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষা বিভাজিত হয়েছে, রাজনীতিতে ধর্মের আশঙ্কজনক অপব্যবহার হয়েছে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে অস্বাভাবিক শূন্যতা। ধনিক শ্রেণী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে বাংলাদেশে আর ভরসা খুঁজে পাচ্ছে না; তাই তাদের অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছে পাশ্চাত্যে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে প্রয়োজন একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মতো দায়বদ্ধ বুদ্ধিজীবীর ভূমিকাÑযাঁরা সমাজ ও রাষ্ট্রের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য জনগণকে সংগঠিত করবেন। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের কাজ একই সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক। তাঁদের যথাযথ ভূমিকাই পারে আমাদের অসমাপ্ত মুক্তিসংগ্রামকে বেগবান করতে। সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আমরা তাঁদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আহমদ কবির, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, লেখক শান্তনু কায়সার প্রমুখ। জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে হেমন্তের বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিবেদিত আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন ডাঃ নুজহাত চৌধুরী, সুমন জাহিদ, অধ্যাপিকা ফাহমিদা খানম, ফারজানা মজিদ ও শিখা চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম. আজিজুর রহমান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নাট্য ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বিকেলে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে শিল্পী কামালুদ্দিনের আঁকা ১২ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর প্রতিকৃতি। তাঁরা হলেন মুনির চৌধুরীর, আলতাফ মাহমুদ, শহীদুল্লাহ কায়সার, জহির রায়হান, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন, ফজলে রাব্বি, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, রনদা প্রসাদ সাহা, ড. গোবীন্দ চন্দ্র দেব ও ড. আজহারুল হক। এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীসহ নবীন ও প্রবীণ ৮০ জন শিল্পীর ১৫০টি শিল্পকর্ম। প্রদর্শনীতে শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক, আমিনুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী, কাইয়ুম চৌধুরী, কাজী আনোয়ার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য, আবু তাহের, হামিদুজ্জামান খান প্রমুখ শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং শুক্র ও শনিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় দুটি নাটক। নাটকগুলো হলো সিংহ রজনী দুঃখগাথা ও যমুনা। প্রতিবছরের মতো এবারও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। সকালে একাডেমির পক্ষ থেকে শিশুদের নিয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অর্পণ করা হয় পুষ্পাঞ্জলি। বেলা ১১টায় একাডেমির মিলনায়তনে শিশু সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া একাডেমির গ্রন্থ ভবনের লেকচার থিয়েটার হলে মহান স্বাধীনতার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির নানা আনুষ্ঠানিকতার মাঝে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ‘বিজয়ের ৪৮ ঘণ্টা পূর্বের স্মৃতিকথা’ শীর্ষক বিশেষ নাট্য প্রদর্শনী। মুক্তিকামী সংগ্রামী জনতার বিজয় যখন নিশ্চিত তখনই তা আন্দাজ করতে পেরে দেশীয় মীর জাফরদের সহায়তায় এক জঘন্যতম এবং নারকীয় পৈশাচিক হত্যাকা- চালায় পাকিস্তানী সেনারা। এ নারকীয়তার কবলে পড়ে আমাদের বরেণ্যজনেরা। কবি-সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, ডাক্তার থেকে শুরু করে বাছাই করে জাতিকে মেধাশূন্য করতে এই নারকীয়তা চালায় তারা। শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় সেই বিয়োগান্তক ঘটনার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয় অভিনয়ের মাধ্যমে। অনন্য আয়োজনটি উপভোগ করে দনিয়ার কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। দনিয়া এলাকার পুরাতন এ কে হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের কয়েকটি ভবনজুড়ে চলে এ আয়োজন। সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব ॥ ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথে জঙ্গীবাদকে দাঁড়াও রুখে’ সেøাগানে চলছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আট দিনব্যাপী বিজয় উৎসব। সোমবার ছিল এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে শুরু হয় মূল আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত গণসঙ্গীত পরিবেশন করে ছায়ানট, সুরসপ্তক ও ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীরা। একক কণ্ঠে গান শোনান ফেরদৌস আরা, আবু বকর সিদ্দিক, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, মাহজাবিন রহমান শাওলী ও সালমা চৌধুরী। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রকাশ ও কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। একক কণ্ঠে আবৃত্তি করেন ফয়জুল আলম পাপ্পু, মজুমদার বিপ্লব ও শহীদুল্লাহ নাজু। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ভোরের পাখি কলাকেন্দ্র, জাগো আর্ট সেন্টার ও নৃত্যাক্ষ। শিশুতোষ পরিবেশনায় অংশ নেয় মৈত্রী শিশু দল। আরণ্যক পরিবেশন করে মান্নান হীরা রচিত ও হাশিম মাসুদ নিদের্শিত পথনাটক ‘আগুনের জবানবন্দী’ এবং সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশন করে ফকির মোস্তফা রচিত ও নিদের্শিত ‘দু’ আনির বাজার’। শহীদ মিনারের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফকির সিরাজ ও আবুল ফারাহ পলাশ। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গে সাতটি ভেন্যুতে চলে আয়োজন। রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাহাঙ্গীর কবির, মনজুরুল আলম সিদ্দিকী প্রমুখ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিমির নন্দী, এটিএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেয় উজান ও পঞ্চভাস্কর। নৃত্য পরিবেশন করে বাফা ও খেলাঘর আসর। এছাড়া ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। রবীন্দ্র সরোবরেও ছিল বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানমালা। উৎসবের তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবারও বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বিজয় উৎসবের নানা আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিজয় দিবসের আয়োজন ॥ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘মানবাধিকার দিবস থেকে বিজয় দিবস’ শীর্ষক বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিন সোমবার ছিল আলোচনা, দলীয় আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশনা। এদিন ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিচার’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেয় শহীদ পরিবারের দুই সন্তান। তারা হলেন শহীদ অধ্যাপক আবদুল ওহাব তালুকদারের ছেলে মিজানুর রহমান তালুকদার ও শহীদ আজিজুর রহমানের মেয়ে রিজিয়া রহমান। এদিন স্বাগত বক্তৃতা করেন জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন আলী তারিক। সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করে ছায়ানট। এর আগে বধ্যভূমি সন্তান দল ও মাতুয়াইল সঙ্গীত একাডেমি পরিবেশন করে গণসঙ্গীত। এই দুটি সংগঠনের শিল্পীরা গেয়ে শোনায় ‘পতাকায় বাঁধা লাল সূর্যটা’, ‘লাল লাল রক্তে লাল পাথরে’, নোঙর ছাড়িয়ে নাইয়ে’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’ ও ‘আমার বাংলাদেশ’সহ ১০টি গান। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে স্রোত আবৃত্তি সংসদ। জাতীয় জাদুঘরে আজ মুক্তিযুদ্ধ উৎসব ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধ উৎসব ২০১৫ : থিমকান্ট্রি রুশ ফেডারেশন (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)’ শীর্ষক যৌথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার জাদুঘরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাদুঘর বোর্ডে ট্রাস্টিজের সভাপতি এম. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ, জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী ও সাউথ এশিয়ান মিউজিক ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের প্রথম প্রথম পর্বে থাকবে বাংলাদেশ ও রুশ ফেডারেশনের (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চার যুগের আলোকচিত্র এবং একাত্তরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পাকিস্তান আর্মির পুঁতে রাখা মাইন অপসারণে অংশগ্রহণকারী ১৩০০ সোভিয়েত নৌ-কমান্ডোর মাইন সুইপিংয়ের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন। প্রদর্শনী শেষে আলোকচিত্রগুলো জাতীয় জাদুঘরে উপহার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনাসভা শেষে পরিবেশিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গান। স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর, শাহীন সামাদ, বুলবুল মহলানবীশ, তিমির নন্দী এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পী শোমঋৃতা মল্লিক সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রুশ ফেডারেশন) স্বাধীনতার গান গাইবেন। মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, ঢাকার রুশ ফেডারেশন দূতাবাস, রুশ বিজ্ঞান ও সং¯ৃ‹তি কেন্দ্র ও সাউথ এশিয়ান মিউজিক ইনস্টিটিউট ঢাকার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উৎসব প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি থাকবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার এ. নিকোলায়েভ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিন। ‘মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা’ বিষয়ে আলোচনা করবেন ড. আনু মাহমুদ। সভাপতিত্ব করবেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ।
×