ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোমবাতি তৈরির ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

মোমবাতি তৈরির ব্যবসা

আলো জ্বালানো ছাড়াও আজকাল মোমবাতি শোপিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নানা আকৃতির নানা ডিজাইনের মোমবাতির কদর ক্রমাগত বেড়ে চলছে। বেকার বসে না থেকে মাত্র নয় হাজার টাকার মূলধন নিয়ে শুরু করতে পারেন মোমবাতি তৈরির ব্যবসায়। গ্রাম কিংবা শহর সর্বত্রই মোমবাতির বাজার রয়েছে। তাই নির্ভয়ে পরিকল্পনা করে নেমে পড়তে পারেন এই ব্যবসায়ে। এজন্য পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন, মোমবাতি তৈরিতে অভিজ্ঞ এমন কোন ব্যক্তি, স্থানীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। স্থায়ী উপকরণ হিসেবে কিনতে হবে একটি কড়াই, দুটি পাত্র, একটি ছুরি, একটি কাঁচি, তিনটি চামচ, একটি মগ, একটি বালতি, চারটি কোটা, একটি ডাইস। এগুলোর মূল্য পড়বে প্রায় আট হাজার টাকা। আড়াই শ’ মোমবাতি তৈরি করার জন্য দশ কেজি প্যারাফিন, এক কেজি স্টিয়ারিক এসিড, আড়াই শ’ গ্রাম সুতা, আধাকেজি রং, পঞ্চাশ গ্রাম সয়াবিন তেল, প্যাকেট পঁচিশটি, লেবেল পঁচিশটি এবং আড়াই শ’ গ্রাম আঠা। এতে খরচ পড়বে আট শ’ থেকে নয় শ’ টাকার মতো। বিভিন্ন আকৃতির ও ডিজাইনের মোমের জন্য সে অনুযায়ী ছাঁচ তৈরি করতে হয়। মোমবাতি তৈরি করতে প্রথমে ডাইস বা ছাঁচের ছিটকিনি খুলে ছাঁচের দু’টি অংশ আলাদা করতে হয়। একটি কাপড়ে তেল নিয়ে ডাইসের ভেতরে থাকা খাঁজগুলো ভালভাবে মুছে নিতে হয়। ছাঁচের মধ্যে সলতে পরানোর জায়গা রয়েছে। সলতেগুলো ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত টান টান করে বেঁধে দিতে হয়। এরপর ছাঁচের ২টি অংশ এক সঙ্গে আটকে দিতে হয় এবং ছাঁচের সঙ্গে লাগানো পানির ট্যাঙ্কে পানি ভরতে হয়। এরপর কড়াই গরম করে তন্মধ্যে প্যারাফিন দিতে হয়। প্যারাফিন পুরোপুরি গলে যাওয়ার আগে কড়াইতে স্টিয়ারিক এসিড মেশাতে হয়। গলে যাওয়া প্যারাফিন মগে কিংবা চামচে করে আস্তে আস্তে ডাইসের খাঁজগুলোতে পুরোপুরি ঢালতে হয়। বিশ-পঁচিশ মিনিট পর মোমগুলো ঠা-া হলে বের করে এনে সাইজমতো কাটতে হয়। আড়াই শ’ মোমবাতি তৈরি করে ঠিকমতো বাজারজাত করতে পারলে বারো শ’ থেকে পনেরো শ’ টাকা আয় করা সম্ভব। অর্থনীতি ডেস্ক
×