ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্রোহীরা বসতে রাজি না, বিপাকে বড় দুই দল

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্রোহীরা বসতে রাজি না, বিপাকে বড় দুই দল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১২ ডিসেম্বর ॥ আসন্ন পৌর নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়রপদে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় আছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তারা। তবে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে চেষ্টাও চলছে জোরেশোরে। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীই ১৩ ডিসেম্বরের অপেক্ষায় রয়েছেন, সেদিন বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন কিনা, তা দেখার জন্য। তাই এ পৌরসভায় তেমন জমছে না দল দুটির প্রার্থীদের প্রচারণা। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা অনেকটা একাকী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীদের খুব একটা সঙ্গ তিনি পাচ্ছেন না। তবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য সোলামান আলী সরকারকে সমর্থন দিয়েছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। অপরদিকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি চৌধুরী মোঃ গোলাম সারোয়ার স্বতন্ত্রভাবে দলের একটি অংশের নেতাকর্মীর সমর্থন নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোলায়মান আলীর দাবি, দলীয় মেয়র প্রার্থীকে অপছন্দের কারণে অনেকে তাকে সমর্থন দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতা। তাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা জানান, দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী তার পক্ষে রয়েছেন। বিদ্রোহী হয়ে দলের ভারমূর্তি নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। এদিকে দুই প্রার্থী হওয়ায় অসুবিধায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন। পৌরসভা নির্বাচন কোন কারণে মূল প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাবেন। এ বিবেচনায় ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় সিদ্ধান্তেই বিএনপির দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দলের মূল প্রার্থী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জেলা বিএনপির আরেক সহসভাপতি চৌধুরী মোঃ গোলাম সারোয়ার। স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেই স্বতন্ত্র হিসেবে মেয়র প্রার্থী হয়েছি। পৌরসভার ভোটারদের অনুরোধেই আমি প্রার্থী হয়েছি। দলের প্রার্থী নির্বাচনে আমার প্রতি যে অবজ্ঞা করা হয়েছে, পৌরবাসী আমাকে জয়ী করে এর জবাব দেবেন বলে বিশ্বাস করি।’ বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফয়সল বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের সিদ্ধান্তেই সারোয়ারকেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। এখন আমার মনোনয়নপত্র টিকে গেছে। তাই আশা করি, সারোয়ার তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।’ বিএনপির দুই প্রার্থীর বিষয়ে এর আগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান বলেছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে মির্জা ফয়সল আমীন দলীয়ভাবে, আর সারোয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় বানান ভুলের কারণেও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
×