ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক

গুরুত্বপূর্ণ চার দিবসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিরাট চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

গুরুত্বপূর্ণ চার দিবসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিরাট চ্যালেঞ্জ

গাফফার খান চৌধুরী ॥ চলতি মাসের গুরুত্বপূর্ণ চারটি দিবসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও বিজয় দিবস, খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে এমন চ্যালেঞ্জের কথাই প্রকাশ পেয়েছে। দিবসগুলোকে ঘিরে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনাগুলোতে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য, সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর ও র‌্যাবের হেলিকপ্টার মোতায়েন থাকছে। পাশাপাশি শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দফতরে শনিবার এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসব ছাড়াও আলোচনায় জেএমবিসহ নিষিদ্ধ জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের কার্যক্রম ও তাদের তৎপরতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। ঢাকায় জেএমবির কার্যক্রম ও আস্তানার বিষয়ে ধারণা পেতে বাড়িওয়ালাদের কাছে ভাড়াটিয়াদের পরিচয় লিপিবদ্ধ করা বিষয়ক একটি ফরম দেয়া হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে। সরবরাহকৃত ফরমের চার ভাগের একভাগও পুলিশের কাছে জমা পড়েনি। ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে যেসব তথ্য ফরমে উল্লেখ রয়েছে, তা সঠিক কি-না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। বেশিরভাগ ভাড়াটিয়ার বিষয়েই সঠিক তথ্য না পাওয়ায় বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চলতি মাসের মধ্যেই ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়া মহল্লাবাসীদের নিয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উঠান বৈঠক করতে তাগাদা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের পুলিশিং ব্যবস্থা সচল থাকলে মহল্লায় থাকা প্রতিটি মানুষের বিষয়ে পুলিশের কাছে সঠিক তথ্য চলে আসবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করা হয়। জানা গেছে, সম্প্রতি বিদেশী হত্যা, মন্দির, মাজার, তাজিয়া মিছিলসহ বিভিন্ন জায়গায় জেএমবি ও উগ্র মৌলবাদীদের হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসব জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইটে হামলা চালানো বিচিত্র নয় বলেও আলোচিত হয়েছে।
×