ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

কবিতা

যুদ্ধ জয়ের বিজয় দিবস খালেক বিন জয়েন উদদীন যুদ্ধ জয়ের বিজয় দিবস প্রতিবছর আসে একাত্তরের স্মৃতিগুলো চোখের জলে ভাসে। দেশের মায়ায় অস্ত্র নিয়ে জাগলো লাখো প্রাণ দস্যু সেনা পালিয়ে গেলো বইলো রক্ত বান। ভাই হারিয়ে বোন হারিয়ে দুঃখ এখন নাই মুক্ত আলোয় ঘর বেঁধেছি স্বাধীন-স্বদেশ ভাই। যুদ্ধ জয়ের লাল পতাকা উড়ছে দ্যাখো বায়ে দ- গেল বদর শামস মানুষ মারার দায়ে। বিজয় দেখো মানজুর মুহাম্মদ বাংলাদেশের বিজয় অবাক বিশ্ব তাকায়- রক্ত প্রেমের আগুন খেলায় পেলাম মহান কী জয়! বিজয় দেখো- রঙিন সাজের বারো মাসে সুখের মাঠে সোনার চাষে হলুদ রাঙা শর্ষে ফুলে খুকির খোলা এলো চুলে। বিজয় দেখো- সারস ডানায়, সবুজ বিলে শাপলা ফোটা শান্ত ঝিলে লাল সবুজের মোহন মিলে বোনের মুখের ছোট্ট তিলে। বিজয় দিবস মিলন সব্যসাচী আজ আমাদের বিজয় দিবস দারুণ খুশির খবর পাখিরে তুই বলতে পারিস কোথায় বাবার কবর? বাবা ছিলেন মুক্তিসেনা করি তাঁকেই স্মরণ শত্রু সেনার হাতে হয় তো তাঁর হয়েছে মরণ। খুঁজছি তাঁকে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরছি সারা শহর চোখেরজলে পদ্মা-মেঘনায় বইছে নীলের নহর। আজ আমাদের বিজয় দিবস দারুণ খুশির খবর পাখিরে তুই বলতে পারিস কোথায় বাবার কবর? বিজয়ের গর্ব স.ম. শামসুল আলম হে-রে, রে-রে, রে-রেÑ বাঙালিদের স্বাধীনতা কে নিতে চায় কেড়ে? স্বাধীনতার জন্যে হলো মুক্তিসেনা তৈরিÑ উঁচু মাথায় দাঁড়িয়ে পাকসেনাদের হারিয়ে তাড়িয়ে দিল বৈরী। বুদ্ধু হলো ইয়াহিয়া, বুদ্ধু হলো টিক্কাÑ একাত্তরের সেই ঘটনায় পেল উচিত শিক্ষা। শিক্ষা পেয়ে পালিয়ে গেল তারা পাকিস্তানে। সেই বিজয়ের গর্ব কতÑ বাঙালিরাই জানে। ষোলতেই ফুটলো, ডিসেম্বরে রবিউল হুসাইন হঠাৎ, মাঝের রাতে, কীসের আওয়াজ? তফাৎ যবে, মানুষজন, হুড়োহুড়ি, পড়েছে বাজ, একী। গুলির শব্দ, অবিরাম, ফট্্ফট্্! দুমাদ্দুম্্! দেখি, অবাক ব্যাপার, কী কারণে, এমন হয়, গুমাজ্জুম্! আরে, ভেবে না পাই, পাকিরা সব পাখির মতো, কেন মারে মানুষজন, দৌড়াদৌড়ি, চারিদিকে ছোটে এহেন, হেরে গেছে, ভোটের খেলায়, তাই, খানসেনা সব, তেড়ে আসে, ভয়ে ভীত, গুলি ছোড়ে, মুক্তিযোদ্ধা খুব সরব, পঁচিশ, মার্চেই এমনি করে, বাংলা স্বাধীন, জয়-বিজয়, আশীষ! ষোলতেই ফুটলো ফুল, ডিসেম্বরে, দিগ¦ীজয়!
×