ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিরাজগঞ্জে কোমর বেঁধে মাঠে প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

সিরাজগঞ্জে কোমর বেঁধে মাঠে প্রার্থীরা

বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ ॥ মার্কা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনের দেয়া আনুষ্ঠানিক প্রচারে শুরুতেই সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনীত ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন, ভোট চাইছেন। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সিরাজগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেছেন। এ সময় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীরাও সঙ্গে ছিলেন। বিএনপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী ও দলীয় কর্মী সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছেন। বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী টি আর এম নূরে আলম হেলালও। সদর পৌরসভার আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তার নৌকা পৌর এলাকার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। তবে প্রচারে তেমন উত্তাপ নেই অন্য প্রার্থীদের, যেমনটা নৌকার উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই পাড়ায় মহলায় সভা সমাবেশ করছেন, দলীয় কর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী বাহিনী দৃশ্যমান থাকলেও জামায়াতের কোন দৃশ্যমান তৎপরতা নেই। তবে শোনা যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরীক জামায়াত এবার কৌশল বদলিয়ে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করেছেন। সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভার নির্বাচনে এবারের হিসেব একটু ভিন্নমাত্রা পেয়েছে বলে ভোটাররা জানিয়েছেন। ভোটাররা চায় যাকে ভোট দিলে বিপদে-আপদে কাছে পাওয়া যাবে, যিনি জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবেন, এলাকার উন্নয়ন এবং জনকল্যাণে কাজ করবেন এমন মানুষটিকেই তারা বেছে নিতে চান, তাদের ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসানকে মনোনয়ন দিলেও আবদুর রউফ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলীর কাছে প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। তাই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চমক এসেছে। দলের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে তিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তিনি মেয়র পদে নতুন মুখ। অন্য যারা প্রতিদ্বন্দিতায় নেমেছেন তাদের দু’জন বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী টিআরএম নুরে আলম হেলাল ইতোমধ্যেই মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকেই এর আগেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলীয়ভিত্তিক প্রথম পৌরসভা নির্বাচনে জেলার ৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। ভোটের আগে ভোট দিয়ে একক প্রার্থী নির্বাচনে কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছিল। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী এখনও মাঠে নেই। দলের হাইকমান্ডের কড়া নির্দেশনায় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা দলীয় সিদ্বান্ত মেনে নিয়ে একক প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। সিরাজগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাসদ, ইসলামী ঐক্যজোট আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এলডিপিসহ ২৭ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
×