স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে পর্যন্ত যে নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল উর্দুভাষীদের গিঞ্জি শহর সৈয়দপুরে তা হঠাৎ করে ঝিমিয়ে পড়েছে। দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনে হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসেছে মেয়র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। মনোনয়নপত্র জমা, যাছাই-বাছাই সব সম্পন্ন হলেও প্রতীক ছাড়া প্রচার প্রচারণা বা জনসংযোগ এক প্রকার থমকে গেছে। প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বরের প্রতীক বরাদ্দের অপেক্ষার দিন গুণছে। প্রতীক পেলেই প্রচার নেমে পড়বেন। ফলে ভোটের যে গমগম শব্দ তা এই মুহূর্তে নেই বললেই চলে সৈয়দপুরে।
ভোটারদের মধ্যে উর্দুভাষী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার।
এদিকে সৈয়দপুর পৌরসভায় যাচাই-বাছাইয়ের তিন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এখন চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। এরা হলেনÑ সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন (আঃ লীগ), আমজাদ হোসেন সরকার ভজে (বিএনপি), জয়নাল আবেদীন (জাতীয় পার্টি) ও নুরুল হুদা (ইসলামী আন্দোলন)। তারা জানান আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও প্রচারণা বা জনসংযোগ শুরু করা হয়নি। তারা এখন দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দফায় দফায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওয়ার্ডে ওর্য়াডে গিয়ে দলের সমর্থকদের নিয়ে কমিটি গঠন করছে। আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন বলেন প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে। তাই প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনার কৌশলসহ বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ জরুরী বৈঠক করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে সকল নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
অপরদিকে সৈয়দপুরের বর্তমান মেয়র বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার ভজে খুব হিসাব করে পা ফেলছেন। তিনি বিশেষ করে সৈয়দপুরের উর্দুভাষী ভোটারদের নিয়ে বেশি সময় পার করছেন। এবার দলীয় প্রতীকের নির্বাচন তাকে চিন্তায় ফেলে দিয়ে দিয়েছে।
সৈয়দপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে চরম বিভেদ থাকায় দলীয় প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে দলের নেতাকর্মীদের গোছাতে বেগ পেতে হচ্ছে। অপর দিকে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী নুরুল হুদা রয়েছেন আড়ালে। ফলে জনসংযোগ বা প্রচারণা না থাকায় নির্বাচনের কোন উত্তাপ এখনও দেখা যায়নি সৈয়দপুরে। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরন নাহার বেগম বলেন, এখন পর্যন্ত কোন মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।