ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশে এখন দুর্ভিক্ষ নেই, এটা আমাদের সাফল্য ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

দেশে এখন দুর্ভিক্ষ নেই, এটা আমাদের সাফল্য ॥ মুহিত

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এককালে ‘কলেরা’ মহামারী আকার ধারণ করলেও এখন আর নেই। আগামী প্রজন্ম এটি ডিকশনারিতেও খুঁজে পাবে না। তিনি বুধবার চার কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা সিলেট সদর উপজেলা ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য জনসেবা। এ সরকার এ দেশের পশ্চাৎপদ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলতাও পেয়েছে, যা অন্য কোন সরকারের পক্ষে সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, এক সময় কুড়িগ্রাম ও রংপুর এলাকায় দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গা দেখা দিত। এটা মোকাবেলা করা ছিল সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমরা এক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি। এখন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ নেই। এটা আমাদের প্রধান সাফল্য। মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এরমধ্যে ৯৪ শতাংশ মানুষের স্যানিটেশন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকে শতভাগ শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, সরকার প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ঠিক করেছে। ২০১৯ সালের মধ্যে না হলেও ২০২১ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য আদায় করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ‘কলেরা’ এখন আর ডিকশনারিতে নেই উল্লেখ করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এখন আর মহামারী বলতে কিছু নেই। আগামী প্রজন্ম এই শব্দের সঙ্গে পরিচিত হবে না। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এটা সরকারের বড় সাফল্য। কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে দেশের মানুষ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের বেশি ভিড় থাকে। এর গ্রহণযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে কমিউনিটি ক্লিনিকের আদলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলার কথা বলেন মন্ত্রী। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে পারলে নিজের জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের চেহারা দেখে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের সদ্য সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবুল কাশেম আবদুল মোমেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদিন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাদশাহ, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিলাল প্রমুখ।
×