ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লঙ্কার রাবণ!

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

লঙ্কার রাবণ!

এসএ বিপ্লব স্থানীয় সরকার কাঠামোর নগর স্তরের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত স্থানীয় শাসন ব্যবস্থাই পৌরসভা। পৌরসভার নিজস্ব বাজেট প্রণয়ন, টোল, কর আদায়, বিরোধ নিষ্পত্তি, বিধি প্রণয়ন ইত্যাদি ক্ষমতা রয়েছে। পৌরসভা গঠনের শর্ত অনুযায়ী ১৯৭৭ সালের অধ্যাদেশ আইনে বলা আছে, কোন এলাকাকে পৌরসভায় উন্নীত করতে হলে ঐ এলাকার কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষকে অকৃষিজীবী হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গমাইলে গড়ে কমপক্ষে দুই হাজার এবং ঐ এলাকায় জনসংখ্যা কমপক্ষে ৫০ হাজার হতে হবে। পৌরসভা গঠিত হয়ে থাকে মূলত মেয়র, নির্বাচিত কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে। স্থানীয়ভাবে জনসাধারণের সেবা ও কল্যাণ করার ধারণা থেকে জন্ম নিয়েছে স্থানীয় সরকার জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চার্টারের মাধ্যমে কলকাতা, মাদ্রাজ ও মুম্বাই শহরে পৌর প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়। এরপর লর্ড রিপন স্থানীয় সরকারের উন্নয়নের ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন এবং জনগণকে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করার পক্ষে ছিলেন। তার আমলে পূর্বের সকল আইন একত্রিত করে বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট ১৮৮৪ পাস করা হয়। ১৮৮৪ সালের আইন এবং পরবর্তী বিভিন্ন সংশোধনী একত্র করে ১৯৩২ সালে মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট পাস হয়। এই হচ্ছে পৌরসভার সকল নিয়মকানুন নিয়ে যাত্রা শুরু। এবার ২৩৬টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সত্যি বলতে কি নির্বাচনের বিষয় আমার মাথায় এলেই মনে পড়ে একটি প্রবাদ বাক্য যা কিনা প্রায় সবাই ব্যবহার করে থাকি। সেটা হলো- ‘যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আমাদের দেশের নির্বাচন। এবারও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? নারায়ণগঞ্জ থেকে
×