ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণের বন্ধু

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

জনগণের বন্ধু

সঞ্চিতা পোদ্দার শহর এলাকায় যে স্থানীয় শাসন সংস্থাটি আছে তার নাম পৌরসভা, পৌরসভা মূলত শহর এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ তাদের এই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে। যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হচ্ছে তাই স্থানীয় জনগণের চাওয়াটা একটু বেশিই। তবে চওয়ার সঙ্গে পাওয়ার সামঞ্জস্য খুব একটা থাকে না বললেই চলে। কারণ নির্বাচনের আগে মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীরা জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে অনেক ভাল কথা বলেন। আমি নির্বাচিত হলে এটা করব, সেটা করব। হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার নানা কথার ফুলঝুরি ঝরান। নির্বাচনে জয়ী হয়ে বেমালুম ভুলে যান জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা। তখন নিজেদের আখের গোছাতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এটাই যেন এখন হয়েছে নিয়তি। স্থানীয় জনগণের চাওয়া থাকে একজন ভাল ও সৎ জনপ্রতিনিধির। যিনি সত্যি সত্যিই জনগণের বন্ধু হয়ে আপদে বিপদে তাদের পাশে থাকবেন। মাদকের মতো ভয়াবহ ঘাতক ব্যাধি থেকে যুবসমাজকে রক্ষার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। বাল্য বিয়ের অভিশাপ থেকে সমাজকে রক্ষা করবেন। মশার উপদ্রব থেকে শহরবাসী কিভাবে মুক্তি পাবে সেই পরিকল্পনা হাতে নিবেন। বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজই স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা। একদিন অশীতিপর এক বৃদ্ধা ভিক্ষা করতে এসে আমাকে বললেন, আচ্ছা মা আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাব বলতে পারো? আমি সেদিন ঐ বৃদ্ধ মায়ের প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারিনি। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে মেয়র প্রার্থীরা উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে সামনে এগিয়ে যান তাহলে আগামীতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোটের জন্য ঘুরে বেড়াতে হবে না। জনগণের বন্ধু ভেবে জনগণই পুনরায় নির্বাচিত করে নিয়ে আসবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে। মেহেরপুর সদর থেকে
×