ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ওপর কাস্টমসের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিনামা জারি

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫

দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ওপর কাস্টমসের ১৩ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিনামা জারি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বন্ডের আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামালে প্রস্তুত পণ্য বিদেশে রফতানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বন্ড লাইসেন্সের অপব্যবহারের অপরাধে এই দুই প্রতিষ্ঠান ফাঁকি দেয়া ১৩ কোটি ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা আদায়ের জন্য দাবিনামা জারি করেছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা যায়। নোটিস পাওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত এ প্রতিষ্ঠান দুটি হলো মেসার্স লিবার্টি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও মেসার্স সানরাইজ এক্সেসরিজ লিমিটেড। বন্ড লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় এ দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছাড়াও তাদের লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে একমাসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বন্ড কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ফাঁকি দেয়া অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিষ্ঠান দুটির লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। তিনি জানান, লিবার্টি এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার এবং সানরাইজ এক্সেসরিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৯১ হাজার টাকার দাবিনামা জারি করা হয়েছে। কাস্টম সূত্রে জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকার সানরাইজ এক্সেসরিজ লিমিটেড বন্ড সুবিধায় ৫৮০ টন ডুপ্লেক্স বোর্ড আমদানি করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এ কাঁচামাল দিয়ে প্রস্তুত পণ্য বিদেশে রফতানি করেনি। তাদের গুদামে সে পরিমাণ পণ্যের মজুদও পাওয়া যায়নি। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা কাঁচামালে পণ্য তৈরি করে দেশের বাজারে বিক্রির প্রমাণ পায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এতে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হওয়ায় গত ২৩ নবেম্বর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সানরাইজ এক্সেসরিজ লিমিটেড নামের অপর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে গত ২৪ নবেম্বর মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ। একই মালিকের এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ প্রতিষ্ঠান বন্ডের আওতায় ৪৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৫৬০ টন কাঁচামাল আমদানি করেছিল। কিন্তু উৎপাদিত পণ্য রফতানি না করে খোলা বাজারে ছেড়ে দেয়ায় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামালে তৈরি পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি করে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব উদ্ধারে মাঠে তৎপর হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
×