ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আয়োজন করছে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট, শুরু ২৭ জানুয়ারি, ১৬ দলের অংশগ্রহণে ৮ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৪৮ ম্যাচ

অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের উত্তাপ শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫

অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের উত্তাপ শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বড় একটি আইসিসি ইভেন্ট। আগামী বছর ২৭ জানুয়ারি শুরু হবে অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আর ১১তম এই আসরটির গর্বিত আয়োজক বাংলাদেশ। ২০০৪ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন হতে যাচ্ছে এখানে। এছাড়া ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক এবং ২০১৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপের একক আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। আগের মতোই এবারও ১৬ দল অংশ নেবে এ আসরে। সবমিলিয়ে মাত্র ১৯ দিনের টুর্নামেন্টে ৪৮ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মোট ৮ ভেন্যুতে খেলাগুলো হবে। উদ্বোধনী ম্যাচে ২৭ জানুয়ারি স্বাগতিক বাংলাদেশ ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড ও ফিজি চট্টগ্রামে মুখোমুখি হবে। অবশ্য এর আগেই ২২ জানুয়ারি থেকে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে যুব বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল ‘এ’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও লড়বে নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচী ঘোষণা করার সময় এসব তথ্য জানানো হয়। অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ থেকেই মূলত পরবর্তী সময়ের ক্রিকেট বিশ্ব কাঁপানো তারকারা বেরিয়ে আসেন। এর আগে যুব বিশ্বকাপ থেকে যেসব তারকা উঠে এসেছেন তাদের মধ্যে ব্রায়ান লারা, মাইক আথারটন, ক্রিস গেইল, সনাথ জয়সুরিয়া, ইনজামাম-উল-হক, মুশতাক আহমেদ, গ্রায়েম স্মিথ, যুবরাজ সিং, ক্রিস কেয়ার্নস, এ্যালিস্টার কুক, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, টিম সাউদিদের মতো ক্রিকেটাররা আছেন। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত ছোটদের এ বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত ১০ আসর আয়োজিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক তিনবার করে শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া (১৯৮৮, ২০০২ ও ২০১০) ও ভারত (২০০০, ২০০৮ ও ২০১২)। পাকিস্তান ২০০৪ ও ২০০৬ সালে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১৪) ও ইংল্যান্ড (১৯৯৮) একবার করে যুব বিশ্বকাপ জয় করে। যুব বিশ্বকাপের ফরমেটটা একটু আলাদা। চার গ্রুপে বিভক্ত ১৬ দলের মধ্যে শীর্ষ দুটি করে দল সুপার লীগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর বাকি আট দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্লেট চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ যুবদল ১৯৯৮ সালে প্রথমবার প্লেট চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া ২০০৪ সালের ঘরের মাঠে এবং ২০১০ ও ২০১৪ সালেও প্লেট চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত মাত্র তিনবার গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার লীগ খেলতে পেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। সেরা সাফল্য ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে পঞ্চম স্থান অর্জন। ১৯৯৮ সালে প্রথম কোন আইসিসি ইভেন্ট হিসেবে নকআউট বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। তবে পূর্ণ বিশ্বকাপ হিসেবে ২০০৪ সালে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক হয়। ১২ বছর পর আবারও সেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড দুইবার করে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করে। এবারের আসরটি ২৭ জানুয়ারি শুরুর পর শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। সব ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে। সুপার লীগ সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য একদিন করে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। এই প্রথম ৪৮ ম্যাচের মধ্যে আইসিসি নিজেদের ব্যবস্থাপনায় সরাসরি সম্প্রচার করবে ২০ ম্যাচ। আইসিসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টস এ দায়িত্ব পাবে। সূচী ঘোষণার সময় আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ এ্যালারডাইস বলেন, ‘আইসিসি অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ মেধাবী তরুণদের আগেভাগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটা স্বাদ পাইয়ে দেয়। প্রচুর ক্রিকেটার বেরিয়ে আসে এই ইভেন্টের মাধ্যমে এবং তারা পরবর্তীতে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের একটা স্থান তৈরি করে নেয়।’ আয়োজক হিসেবে আবার বাংলাদেশ। ২০০৪ সালের যুব বিশ্বকাপে প্রচুর দর্শক উপস্থিতি ছিল প্রতি ম্যাচে। এ বিষয়ে এ্যালারডাইস বলেন, ‘বাংলাদেশ বেশ কিছু আইসিসি ইভেন্ট অতীতে আয়োজন করেছে এবং সবই দারুণ সফল হয়েছে আগ্রহী দর্শকদের ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগ প্রকাশের কারণে। তাছাড়া এখানে উচ্চমানের সুযোগ-সুবিধাও আছে।’ এবার ১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশ ছাড়াও ৬ সহযোগী সদস্য দেশ অংশ নেবে। সহযোগী দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, কানাডা, ফিজি, নামিবিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড।
×