ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

জীবনের অপর নাম বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই বেঁচে থাকাকে অর্থপূর্ণ করে তোলারও সংগ্রাম। তাহলে ঢাকার জীবনের কি আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য আছে? ঢাকার জীবন মানে কি আরও বেশি সংগ্রাম! অর্থ অন্বেষণের জন্যও কি অতিরিক্ত এফোর্ট? অথচ অর্থোপার্জনের জন্যই সময়ের সিংহ ভাগ চলে যায় ঢাকার সিংহ ভাগ মানুষের। ব্যস্ততা, সংগ্রাম আর ভোগান্তি। এই তিন নিয়ে হাবুডুবু খায় ঢাকার জীবন। ঘরের বাইরে জীবনের যে বৈচিত্র্য থাকে তার সবটুকু ঐশ্বর্য নিয়ে তার দিকে ফিরে তাকানোর ফুরসত মেলে না আমাদের অনেক সময়েই। সদর রাস্তার ওপর চোখকান খোলা রেখে অল্প কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকলে যা দেখা যায়, তাতে পরিপূর্ণ থাকে জীবনেরই বিচিত্র উপাদান। সামান্য কিছুটা সময়ের ভেতর যে অসামান্য ছবিগুলো দেখা যায়, যে সব শব্দ শোনা যায়, মনের ভেতর যে সব প্রশ্ন আর অনুভূতি এসে জড়ো হয়- তার আদ্যোপান্ত নিয়ে শতাধিক পৃষ্ঠার ডকুফিকশন রচিত হতে পারে। চাইলে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মিত হতে পারে। কর্মস্থলের উদ্দেশে কিংবা কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ার পর এভাবে আমরা থমকে দাঁড়াই না। যদি দাঁড়াই, তাহলে নিঃসন্দেহে বিস্মিত বিড়ম্বিতও হতে হবে। শব্দদূষণে পীড়িত হতে থাকে শ্রুতি। সবার ভেতর এত অস্থিরতা কাজ করে, সবাই যেন রুদ্ধশ্বাসে ছুটছে। কোথাও এক মুহূর্তের জন্য আটকে থাকতে কেউ চায় না। ট্রাফিক সঙ্কেত বাতি সবুজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছোটা শুরু। তারস্বরে বাজতে থাকে বিচিত্র সব হর্ন। তীব্র তার আওয়াজ। সবাই ধৈর্যহীন হয়ে পড়ে। পৃথিবীর আর কোন শহরে কি এমন শব্দদূষণ চলে? চলে না। এমন বায়ুদূষণ ঘটে না কিংবা জীবনযাত্রা এতখানি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে না। তাই আজ বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৯তম। স্কুলগামী বালক-বালিকাদের ভেতরে বরং আলাদাভাবে দেখা যায় কিছুটা আনন্দের ছটা। স্কুলে পাঠ্য বইয়ের বোঝায় বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি সমবয়সী এক ঝাঁক বন্ধুর সঙ্গে ভাব বিনিময়ের সুযোগ পাওয়া আনন্দদায়কই বটে। রাজপথে দিব্যি রাজসিক ভঙ্গিতে হেঁটে চলে কাজে বেরুনো খেটে খাওয়া মানুষেরা। কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে দা-বঁটি ধার করানোর যন্ত্র। তালা-চাবির মুশকিল আসানকারীর হাতে ঝনঝন করে বাজছে চাবির সারি, এমনকি ছাতা মেরামতকারীরও দেখা পাওয়া গেল। প্রতিবন্ধী ভিখিরী নিজেই নিজের হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে ‘কাজে’ বেরিয়ে পড়েছে। রিক্সা, হোন্ডা আর মোটরগাড়িতে করে যারা চলেছে, তাদের একটা অংশ নিশ্চিতভাবেই কর্মস্থলে যাচ্ছে। সকাল জানিয়ে দিচ্ছে রাজধানীতে আরেকটা দিন শুরু হলো। আরেকটা নতুন দিন। কারও জন্য আনন্দের, কারও জন্য কষ্টের। দিবাবসানে হয়ত মিলবে তার হিসাব। নিছক পতাকা-বাহক নয় পুবমুখো হয়ে আমি চলেছি, পেছনে স্বভাবতই পশ্চিম। সূর্যকে পিছনে রেখে তরুণটি হেঁটে আসছে। তার পেছনের সব দৃশ্য যদি অদৃশ্য করে দিই, তাহলে বলতে পারব সূর্যের ভেতর থেকেই সে হেঁটে আসছে যেন। পরনে জিনসের প্যান্ট, গায়ে চেক শার্ট। মাথায় বাঁধা রঙিন গামছাই তাকে আলাদা করে দিয়েছে শহুরে দশটা তরুণ থেকে। তাছাড়া তার পাও খালি, নগ্ন পদেই সে রাজধানীর কঠিন সড়কের ওপর দিয়ে হেঁটে চলেছে! দু’হাতে তার পতাকা। ডান কাঁধে ঠেস দিয়ে রাখা বাঁশের লাঠিতে নানা মাপের লাল-সবুজ বস্ত্রখণ্ড- আমাদের প্রাণের পতাকা। বাম হাতে কাগজ ও কাপড়ের তৈরি ছোট ছোট পতাকা। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় এসব পতাকার সঙ্গে কপালে বাঁধার জন্য ফেটিও আছে, যেগুলোয় প্রিন্ট করা রয়েছে পতাকা, তার নিচে কিছু কথা। সম্ভবত দেশাত্মবোধক গান বা কবিতার লাইন হবে। ডিসেম্বরের শুরুতে এমন পতাকা বিক্রেতার দেখা মেলে ঢাকার অলিতে গলিতে। পতাকা বিক্রি সাময়িক পেশা বটে ওই তরুণের। তবু তাকে আমার নিছক পতাকা-বাহক বলে মনে হয় না। মন জানিয়ে দেয় ছেলেটি মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার। প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে শামিল এই অল্পবয়সী ছেলেটি স্বাধীনতা যুদ্ধেরই ফসল, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধি সে। তার হাতের পতাকা সে পৌঁছে দিচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল্য ওই পতাকার দিকে তাকিয়ে আমাদের অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে। যেসব পুরনো শকুন ওই পতাকাকে ছিঁড়েখুঁড়ে ধুলায় মেশাতে চায়, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। বিজয় দিবস আসন্ন। বিজয়ের পেছনে কত অশ্রু আর রক্তনদী বয়ে গেছে, ওই পতাকা আমাদের সে কথা কখনই যেন ভুলতে না দেয়। প্রতিটি বিজয়ের আগে উদার অসীমে বিজয় নিশানের দিকে চোখ রেখে আমরা যেন বলতে পারি, রাজাকারমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে আমরা আরও এক কদম এগিয়ে গেলাম। তবলার বোলে বৃষ্টি ও বজ্র মুখে জয় বাংলা সত্যিই তাই। ওস্তাদ জাকির হোসেন ঢাকায় যে সময়টায় তবলায় জাদুকরী ঝড় তুলছিলেন সেটি ছিল বিজয়ের মাস শুরুর প্রথম প্রহর। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। সন্ধেবেলা সেখানে প্রবেশের সময় তরুণদের দীর্ঘ লাইন ‘ইউ’ আকৃতি নিয়েছিল। হাজার হাজার বললে যেন কম বলা হয়। তবলার জাদুকর এত দর্শক-শ্রোতা দেখে নিজেই মোহগ্রস্ত, মুগ্ধতা তার বড় বড় দুই চোখ থেকে যেন ঠিকরে বেরুচ্ছিল। পরিবেশনার ফাঁকে এখানকার আতিথেয়তার কথা, ইলিশ মাছের কথা বলতে ভুললেন না। বাংলার বরষার ধ্বনি তবলায় অবিকল তুলতে গিয়ে হঠাৎ বাজ পড়ার কড়কড় আওয়াজ! না, আকাশে মেঘ নেই, তুফান আসছে না। লহরিতোলা জাকিরের তবলা থেকে বেরুচ্ছে বজ্রধ্বনি। ঢাকার মানুষদের মাতিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে একটু দম নিলেন। মুখে ফুটে উঠল শিশুর মতো হাসি। বললেন, জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের প্রতিটি দিনই বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। বিজয় দিবস উদযাপনের কতই না প্রস্তুতি। সেদিন এলিফ্যান্ট রোডের একটি সিডির দোকানে গিয়ে দেখি এক গ্রাহকের জন্য সিডিতে কপি করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) একাত্তরের সাতই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দেন সেটি কেবল ঐতিহাসিক বিচারেই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বিশ্বের সর্বকালের সেরা পঁচিশটি ভাষণের মধ্যে তা আপনগুণে জায়গা করে নিয়েছে। সাধারণত মার্চে ঢাকার প্রধান প্রধান রাজপথে, বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাইকে এই ভাষণ শোনা যায়। তবে বিজয় দিবসেও এই ভাষণ প্রচারিত হয়ে থাকে। এতগুলো বছর পরেও যখন এই ভাষণ শুনি তখন শিহরিত না হয়ে পারি না। শুনতে শুনতে বরাবরের মতো আমার দুটি প্রতিক্রিয়া হয়। ধারণা করি এমন প্রতিক্রিয়া আমার মতো লক্ষজনেরই। প্রথমত বাঙালী হিসেবে পরম গৌরব বোধ হয়। যে মহান নেতাকে আমি কখনও চোখে দেখিনি মানসপটে তাঁর পূর্ণাঙ্গ অবয়ব ভেসে ওঠে। স্পষ্ট যেন দেখতে পাই ডান হাতের তর্জনী উঁচিয়ে তিনি বলছেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। দ্বিতীয়ত, চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। মনে পড়ে এই মানুষটিকেই এ দেশেরই কিছু নাগরিক নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কিংবা যাদের জন্ম পঁচাত্তরের অব্যবহিত আগে কিংবা পরেÑ তারা কি এই ভাষণটির জন্য আবেগ বোধ করে? আজকের তরুণ প্রজন্ম যেন দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নির্দেশনা সংবলিত কবিতার মতো আবেদনময় ও হৃদয়স্পর্শী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাষণটির প্রকৃত গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সুগ্রন্থিত ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব। এতে ইতিহাসবিকৃতির থাবা থেকেও ভবিষ্যত সুরক্ষা পাবে বলে আশা করতে পারি। কথাগুলো আগেও বলেছি, এ সুযোগে আবারও বলা প্রয়োজন বোধ করলাম। গুণী জননীর ছায়া আত্মজার ওপর জননীর ছায়া পড়তেও পারে, আবার নাও পারে। ঢাকার নাট্যমঞ্চের সৌভাগ্য যে বরেণ্য অভিনেত্রীর কথা মনে পড়ে যাবে কন্যার অভিনয় দেখে। বলছিলাম মায়ানদী নাটকের কথা। সুদীর্ঘকাল পর নতুন নাটক মঞ্চে এনেছে থিয়েটার। থিয়েটার আয়োজিত নাট্য সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো মায়ানদী। এটি নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। অভিনয় করছেন ত্রপা মজুমদার। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে মঞ্চ-পারদর্শিতা দেখিয়ে আসছেন ফেরদৌসী মজুমদার। মায়ানদী নাটকটিতে তাঁর কন্যা ত্রপার অভিনয় নৈপুণ্য মনে পড়িয়ে দিয়েছে গুণী জননীকে। জন্মভূমি তো জননীই, আর তার নাড়ি হলো নদ-নদী; যার সঙ্গে নাড়িরই মায়াবন্ধন জনসাধারণের। অথচ কিছু লোভী মানুষের অপরিণামদর্শিতায় অনেক নদীই আজ রুদ্ধ, বিপন্ন। এসব বিষয় নিয়ে রচিত ‘মায়ানদী’ দর্শনযোগ্য একটি মঞ্চ-পরিবেশনা। শিল্পী হলেন সংবর্ধিত শিল্পী হাশেম খান কেবল শিল্পী বা শিল্পকলার শিক্ষক নন, তিনি হলেন সমাজসজ্ঞান এক সংবেদনশীল মানুষ। দেশের ডাকে সাড়া দিতে তার কখনই দেরি হয়নি, তা সে ঊনসত্তর-একাত্তরই হোক কিংবা হোক নব্বুই। সামনের বছরই এই খ্যাতিমান শিল্পী পঁচাত্তরের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করবেন। দেশের ৫৫ জন কবি তাঁকে নিবেদন করেছেন হৃদয়ের পঙ্ক্তিমালা। সেইসব লেখার সংকলন ‘ছবির কবি হাশেম খান’- এর প্রকাশ উপলক্ষে সংবর্ধিত হলেন স্বয়ং শিল্পী। বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ওই আনন্দ আয়োজনে অর্থমন্ত্রী অর্থর্পূণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, চমৎকার মানুষের জন্য চমৎকার একটি বই আমরা পেলাম। হাশেম খানের নানা দিক উঠে আসে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও রফিকুন নবীর কথায়। অভিনন্দন শিল্পী হাশেম খান, সত্যিই এক অভিনব গ্রন্থের বিষয় হলেন আপনি। মানববন্ধনে নতুন বিষয় কতশত সমস্যা নিয়ে দাবি জানাতে রাজপথে মানববন্ধন হয়ে থাকে। এখনকার মানববন্ধনের বিষয়টি একেবারে নতুন। সমস্যাটিও যে নতুন। নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার গত তিন সপ্তাহ হলো ফেসবুক বন্ধ রেখেছে। কোটি মানুষের নিত্যদিনের জীবনযাপনের অংশ হয়ে উঠেছিল এই সামাজিক মাধ্যমটি। এর সঙ্গে যে লাখো মানুষের আয়-রোজগারের বিষয়টিও যুক্ত, সেটি আমরা সেভাবে ভেবে দেখিনি। এখন রাজপথে মানববন্ধন দেখে অনেকেই সচেতন হয়ে উঠেছেন ফেসবুকের ‘অর্থপূর্ণ’ দিক সম্বন্ধে। এই প্রথমবারের মতো ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সরকারী কর্তৃপক্ষ বৈঠক করলেন। এ যুগে তথ্য ও যোগাযোগের জানালা বন্ধ রাখার বিষয়টি সত্যিই হতাশ করে। মাথাব্যথা হলে মাথা কাটার কথা কি কেউ ভাবে! প্রিয় মেয়র, আপনাকেই বলছি আমরা এই কলামে ঢাকার দুই মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান ও অনিয়মের সুরাহা চাইছি। এটা নিছক আমাদের অনুরোধ নয়, সমাজেরই দাবি। কিন্তু আজ কোন দাবি জানাব না, শুধু ধন্যবাদ দেব। ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, আপনার অঙ্গীকার রক্ষার ক্ষেত্রে দৃঢ়তা, সততা ও সাহসের জন্য আপনাকে অবশ্যই নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাব। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই আপনি কর্তব্য পালনে অটল থেকেছেন। অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী একটি মহলের বাধা সত্ত্বেও রাজধানীবাসীর একটি বেদখল হয়ে যাওয়া প্রশস্ত সড়ক আপনি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তেজগাঁও লিংক রোড দিয়ে চলাচল ছিল প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ, অহেতুক সময়ক্ষেপণ হতো, বিরক্তি ও হতাশা ভর করত, আজ সেই দুর্দশার অবসান হয়েছে আপনারই সৌজন্যে। আগামীতেও আপনার কাছ থেকে এমন দৃঢ়তা প্রত্যাশা করি। ৭ ডিসেম্বর ২০১৫ [email protected]
×