ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিক্ত হস্ত ক্রিস কেয়ার্নস

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

রিক্ত হস্ত ক্রিস কেয়ার্নস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাবেক কিউই তারকা ক্রিস কেয়ার্নসের ট্রাক-লরি চালিয়ে জীবন ধারনের খবর পুরনো। অর্থ সঙ্কটে ভুগলেও ফিক্সিং-কলঙ্ক মুক্ত তিনি এখন নির্ভার বলে জানিয়েছেন। ‘আমার জয় হয়েছে, বিষয়টা ঠিক তা নয়। এই ধরনের কেসে জয় বলে কিছু নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি, ইতোমধ্যে ভাবমূর্তির প্রচ- ক্ষতি হয়েছে। এবার অন্তত আমার বাবা-মা মাথা উঁচু করে থাকতে পারবেন। পকেটে অর্থ নেই, সে অর্থে রিক্ত, কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়ে আমি এখন অনেকটাই ভারমুক্ত।’ বলেন নিউজিল্যান্ড ইতিহাসের অন্যতমসেরা অলরাউন্ডার। যুক্তরাজ্যের লন্ডন সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট যখন নির্দোষ বলে ঘোষণা দেয়, তখন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ৪৫ বছর বয়সী কেয়ার্নস। ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে (আইসিএল) চ-িগর লায়ন্সের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার বছর দুয়েক পর ললিত মোদির বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এনেছিলেন কেয়ার্নস। ২০১২ সাল থেকে ওই মামলা চলছিল। নবেম্বরের শেষ সপ্তাহে সেটিরই নিষ্পত্তি হওয়ায় এখন যারপরনাই তৃপ্ত তিনি। তবে খেলোয়াড়, কোচ কিংবা প্রশাসনিক কোনভাবেই আর ক্রিকেটের সঙ্গে জড়ানোর ইচ্ছা নেই জানিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি নিঃশেষিত। এখন কেবল পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আর কখনই ক্রিকেটে কিংবা খেলাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন কাজে জড়ানোর ইচ্ছা নেই।’ বিজয়ের জরিমানা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় মুরলি বিজয়ের ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেন-১ এর আর্টিকেল ২.১.৫ ভঙ্গ করায় শাস্তির আওতায় পড়েন বিজয়। ভারতীয় ওপেনারের ওপর জরিমানা আরোপ করেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। শনিবার দিল্লীতে চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মরনে মরকেলের করা শেষ বলে উইকেটরক্ষক ড্যান ভিলাসের তালুবন্দী হন বিজয়। কিন্তু আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এতেই বিপত্তি ঘটে। পরে মাঠের দায়িত্বে থাকা দুই আম্পায়ার ধর্মসেনা, ব্রুস অক্সেনফোর্ড ও থার্ড আম্পায়ার সিকে নন্দনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজয়ের ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
×