ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে মিশ্র প্রবণতায়। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি টাকার। তবে আগের দিনের তুলনায় প্রধান বাজারে লেনদেন কমলেও বেড়েছে অপর বাজারে। দিনটিতে দুই বাজারে দরবৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির প্রায় ৯৪ ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। ছোট-বড় সব ধরনের কোম্পানিরই দর এদিন বেড়েছে। তবে শুধু ডেল্টা লাইফ ছাড়া বাকি দুটি সূচকের খুব বেশি প্রভাব রাখতে পারেনি। কারণ সূচক পরিবর্তনে কোম্পানিগুলো খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারে না ছোট মূলধনী কোম্পানি বলে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে রবিবারে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার। যা আগের দিনের তুলনায় ৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম লেনদেন। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬০৪ কোটি টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৮টির, কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির শেয়ার দর। সকালে দরবৃদ্ধি দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১২৫ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে। রবিবারে ডিএসইর খাতভিত্তিক লেনদেনের চিত্র উঠে এসেছে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের। সার্বিকভাবে খাতটি মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৬৬ ভাগ দখল করেছে। এরপর ৮০ কোটি টাকার লেনদেন করে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে জ্বালানি খাতটি। সার্বিকভাবে খাতটি মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫৩ ভাগ দখল করেছে। এরপর তৃতীয় স্থান দখল করেছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সার্বিকভাবে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৪ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো : কাশেম ড্রাইসেলস, বিএসআরএম স্টিলস, স্কয়ার ফার্মা, এমআই সিমেন্ট, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, বেক্সিমকো ফার্মা, কেডিএস এক্সেসরিজ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড। দর হারানোর তালিকায় সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কাসেম ড্রাইসেল, জেমিনী সী ফুড, লিব্রা ইনফিউশন, আরামিট, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিবিএস, তাল্লু স্পিনিং, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, বিএসআরএম স্টিল ও ন্যাশনাল টিউবস। এদিন দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধির দিনে দিনটিতে সেখনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও বেড়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২২৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ৭৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বিএসআরএম স্টিল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, শাহজিবাজার পাওয়ার, কেডিএস এক্সেসরিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইফাদ অটোস, সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, সাইফ পাওয়ার ও এমআই সিমেন্ট।
×