ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশী নির্যাতনের অভিযোগ

ওসমানী বিমান বন্দরে পোর্টারের মৃত্যুতে তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

ওসমানী বিমান বন্দরে পোর্টারের মৃত্যুতে তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ ওসমানী বিমানবন্দরে এক পোর্টারের (লাগেজ বহনকারীর) মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত দুই পুলিশের অমানবিক আচরণে ও নির্যাতনের ফলে ওই পোর্টারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, পুলিশ এ নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম বুরহান উদ্দিন (৩৫)। তিনি শহরতলীর ধোপাগুল এলাকার বাসিন্দা এবং ওসমানী বিমানবন্দরে পোর্টারের কাজ করতো। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দরের বাইরে বুরহান উদ্দিন যাত্রীদের লাগেজ বহনে সহযোগিতা করতো। শনিবার সকালে লন্ডন ফ্লাইট আসার পর যাত্রীরা বেরিয়ে এলে কর্তব্যরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) দুই সদস্য বুরহান উদ্দিনসহ ৪Ñ৫ পোর্টারকে আটক করে। যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগে তারা তাদের মারধর করে। কিছু সময় পর পুলিশ অন্যদের ছেড়ে দিলেও বুরহান উদ্দিনকে সূর্যের দিকে তাক করে দাঁড় করিয়ে রাখে। কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর বুরহান পুলিশ সদস্যদের জানান, তিনি হার্টের রোগী। সূর্যের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে তার কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু, পুলিশ সদস্যরা ধমক দিলে তিনি আবারও দাঁড়িয়ে থাকেন। কিছু সময় পর তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বুরহানকে বিমানবন্দরের বাইরের মার্কেটে নিয়ে মাথায় পানি দিলে তার জ্ঞান ফিরে। পরে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে তাকে বাসায় পাঠানো হয়। বুরহানের শাশুড়ি রেনু বেগম জানান, বুরহানের পরিচিত কেউ একজন বিমানবন্দর থেকে তাকে ফোন করে জানান, বুরহানকে বিমানবন্দর থেকে গিয়ে আনতে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়ি থেকে বের হন এবং ধোপাগুল মসজিদের সামনে থেকে তিনি অসুস্থ অবস্থায় বুরহানকে আনেন। এ সময় বুরহান কথা বলতে পারছিলেন না। পরে সেখানে একটি ফার্মেসিতে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রেনু বেগম জানান, তার জামাতাকে বিমানবন্দরে পুলিশ নির্যাতন করেছে এবং দীর্ঘ সময় সূর্যের দিকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে এ খবর তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা দিয়েছেন। এ ধরনের শাস্তির ফলে তার জামাতা ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বুরহানের শাশুড়ি রেনু বেগম আরও জানান, বুরহানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। গত ২০ বছর ধরে সে সিলেটে বসবাস করতো। বুরহান তার মেয়েকে বিয়ে করার পর তারা ধোপাগুলে বসবাস করতেন এবং ৪-৫ বছর থেকে বিমানবন্দরে বিদেশী যাত্রীদের লাগেজ টানার কাজ করতেন।
×