ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তার চরে কৃষকের হাসি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

তিস্তার চরে কৃষকের হাসি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোতে সম্প্রতি ব্যাপক হারে পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। বালুময় চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। এর পাশাপাশি চরাঞ্চলগুলোতে গম, ভুট্টা, আলু, মরিচ, ডাল, বাদাম, সরিষা, তিল, তিসি, টমেটো, বেগুন, মুলা, লাউ, শিমসহ বিভিন্ন শাক-সবজির আবাদও ভাল হচ্ছে। ফলে মঙ্গাপ্রবণ এসব এলাকার চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে শুরু করেছে। তিস্তা নদীর চরাঞ্চলগুলোতে এ বছর বেশি মাত্রায় জমিতে সরাসরি বীজ ছিটিয়ে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। এতে বাম্পার ফলনও হয়েছে। অথচ আগে অন্য জমিতে বীজ ছিটিয়ে পেঁয়াজের চারা করে তা জমিতে রোপণ করা হতো। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষে সময় বেশি লাগতো, উৎপাদনও কম হতো। বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কটের সময় থেকে চরাঞ্চলের ছিটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় তা ক্রেতাদের অপেক্ষাকৃত কম দামে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তিস্তার চরাঞ্চলে ৬০ হেক্টর জমিতে ছিটা পেঁয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ছিটা পেঁয়াজ পাতাসহ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং পাতা ছাড়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ভাটি বুড়াইল চরাঞ্চলের কৃষক আবদুর রহিম জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে ছিটা পদ্ধতিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন এবং দাম পেয়েছেন অনেক বেশি। ফলে কেটে গেছে তার আর্থিক চিন্তা। নদীবাহিত পলি জমা কারণে চরাঞ্চলের বালুময় জমিগুলোর উর্বরতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে শুধু পেঁয়াজ নয় রবি মৌসুমের সব রকমের সবজির চাষ হচ্ছে এবং তার উৎপাদনও বাড়ছে। ফলে তিস্তা চরাঞ্চলে কৃষকের মুখে ছড়িয়ে পড়ছে হাসি।
×