ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তালেবানের শীর্ষ নেতা মনসুর নিহত

প্রকাশিত: ০৩:২৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫

তালেবানের শীর্ষ নেতা মনসুর  নিহত

আফগান তালেবান গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মোল্লা আখতার মনসুর গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল রশিদ দোস্তামের মুখপাত্র সুলতান ফাইজি টুইটারে লিখেছেন, ‘তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুর আহত অবস্থায় মারা গেছেন।’ ওয়েবসাইট এক প্রতিবেদনে সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার পাকিস্তানে কোয়েটায় জঙ্গী-বিদ্রোহীদের এক বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিবাদের জেরে গোলাগুলিতে মনসুর গুরুতর আহত হয়ে পরবর্তী সময়ে মারা যান। তালেবান নেতা মোল্লা আমির খান মুত্তাকির বরাতে সিনহুয়া জানিয়েছে, মোল্লা আখতার মনসুর বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। এর আগে বিবিসি জানিয়েছিল, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই গোলাগুলি শুরু হয়। এতে তালেবান গোষ্ঠীর সশস্ত্র চার সদস্যও মারা গেছেন। জুলাইয়ে তালেবান গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর ঘোষণার পর মোল্লা মনসুরকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মনোনীত করার বিষয়টি এই ইসলামপন্থী মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীটির মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করে। তালেবানের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জ্যেষ্ঠ নেতা মনসুরের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকৃতি জানান। এমন কি গত মাসে সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটিতে মোল্লা মোহাম্মাদ রাসুলের নেতৃত্বে ভাঙ্গনেরও সৃষ্টি হয়। তালেবানের বেশ ক’টি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আবদুল্লাহ সারহাদি নামে এক জঙ্গীর বাসায় গোলাগুলি চলার সময় মোল্লা মনসুর ও তার দেহরক্ষীরা সেখানে ছিলেন। সারহাদি যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে কারাগারে বেশ কয়েক বছর বন্দী থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। ঠিক কী কারণে কোয়েটায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটল তা পরিষ্কার নয়। তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ‘বৈঠকে আলোচনা চলার সময় কিছু সংখ্যক জ্যেষ্ঠ সদস্যের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয় এবং এর পরই তারা পরস্পরকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু করেন। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর ২০১৩ সালে মারা গেলেও চলতি বছরের জুলাইয়ে তার মৃত্যুর খবর গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
×