ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব ॥ পুতিন

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫

তুরস্কের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব ॥ পুতিন

সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে এর শাস্তিস্বরূপ আঙ্কারার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে পুতিন বলেন, গত ২৪ নবেম্বরের ওই ঘটনা রাশিয়া ভুলবে না। ঘটনাটিকে সব সময় মারাত্মক বিশ্বাসঘাতকতা বলেই গণ্য করা হবে। খবর ওয়েবসাইটের। অবশ্য তুরস্ককে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি-ধমকি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন। তবে তিনি এও বলেন, কেউ এমন ভয়ানক যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়ে যদি মনে করে থাকে তারা কেবল খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়া, নির্মাণকাজ ও অন্যান্য খাতে অবরোধের কয়েকটি পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েই পার পেয়ে যাবে, তাহলে খুবই ভুল করবে। আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মাসে সীমান্ত অঞ্চলে রাশিয়া নির্মিত এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী। রাশিয়া আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এ ঘটনার জবাবে তুরস্কের ওপর এরই মধ্যে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আওতায় বন্ধ করা হয়েছে রাশিয়া থেকে তুরস্কের খাদ্য আমদানি। ভাষণে পুতিন বলেন, তুরস্ক যা করেছে এজন্য তাদের একবার নয়, বহুবার পস্তাতে হবে। তুরস্কের ‘সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করার’ বিষয়টি রাশিয়া গুরুত্বের সঙ্গেই নেবে বলে জানান তিনি। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে তেল বাণিজ্য রক্ষার জন্যই তুরস্ক রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে পুতিন এর আগে অভিযোগ করেছেন এবং এর প্রমাণও আছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে তুরস্ক রাশিয়ার অভিযোগকে ‘সোভিয়েত ধাঁচের অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিমান ভূপাতিতের ঘটনার ৯ দিন পরও মস্কো এবং আঙ্কারার মধ্যে উত্তেজনা ও বাগ্যুদ্ধ কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু বৃহস্পতিবারের ভাষণে পুতিন যে আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন, তাতে দু’দেশের মধ্যে বৈরিতা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিমান ভূপাতিতের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান ক্ষমা না চাওয়ার কারণে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। গত সপ্তাহে প্যারিসে শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার চেষ্টা নিয়েও সফল হননি এরদোগান। এমনকি পুতিন তার ফোনকলও ধরেননি। পুতিন বৃহস্পতিবার ভাষণ শেষ করার পর পরই তার জ্বালানিমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া আর তুরস্কের গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে আলোচনা করবে না।
×