ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় প্রকৌশলীর দুর্নীতি তদন্ত দ্দরু

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

গাইবান্ধায় প্রকৌশলীর দুর্নীতি তদন্ত দ্দরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২ ডিসেম্বর ॥ জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প ও ভুয়া প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে এডিপির বরাদ্দের ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ফলে তাকে জেলা পরিষদে প্রেষণাদেশ প্রত্যাহার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অফিসে বদলি করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত খুঁটির জোরে দু’দফায় জেলা পরিষদে একটানা ৭ বছর চাকরি করার পরও বদলির মাত্র ১ মাস ২০ দিনের ব্যবধানে সুন্দরগঞ্জ এলজিইডি থেকে আবারও তাকে গাইবান্ধা জেলা পরিষদে বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) এলজিইডির রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি তদন্ত করছেন। অভিযোগে জানা গেছে, জেলা পরিষদে কর্মরত থাকাকালে মাঠপর্যায়ে কাজকর্মের কোন অস্তিত্ব না থাকলেও জেলা পরিষদের ফাইলপত্রে লিপিবদ্ধ প্রকল্পসমূহ পরিদর্শনকালে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৭৫টি ভুয়া প্রকল্পের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তার কর্মকালের ৭ বছরে জেলা পরিষদে কর্মরত থাকাকালে সবচেয়ে দুর্নীতি করেছেন ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপির প্রকল্পসমূহে। জেলার সাত উপজেলায় এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত বাড়ির মক্তব ঘর, নামাজ ঘর, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠ, বৈঠকখানা, মসজিদ, মন্দির, শ্মশানঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্লাব সংস্কারের নামে অসংখ্য ভুয়া প্রকল্প। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সামগ্রী, হাই-লো বেঞ্চ সরবরাহ, বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েল ও স্যানিটেশন সামগ্রী বিতরণ। উল্লেখ্য, ওই সময়কালে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ কোটি টাকার মূল্যের জীবিত বৃক্ষ সম্পদ মৃত দেখিয়ে বিক্রি করে নাম মাত্র ১৫ লাখ টাকা জেলা পরিষদের কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পার্বতীপুরে মাদ্রাসার দুর্নীতির তদন্ত দাবি নিজস্ব সংবাদদাতা পার্বতীপুর থেকে জানান, জাহানাবাদ দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ ও উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার দাতা সদস্য ও অভিভাবকরা বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অনিয়ম, দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তারা বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি এমদাদুল হক ও অধ্যক্ষ একরামুল হক দু’জন মিলে ৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের নামে ২৩ লাখ টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে ডোনেশন হিসেবে গ্রহণ করেন। এসব টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা ও উন্নয়নমূলক কাজও করা হয়নি। বিজ্ঞান শাখা খোলার নামে ৩ লাখ টাকা সভাপতি হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়াও দিনাজপুর জেলা পরিষদের বরাদ্দ দেয়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকার কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। তারা তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্ত দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দাতা সদস্য আনসার আলী, রেজাউল ইসলাম, কবীর হোসেন, আমজাদ হোসেন প্রামাণিক প্রমুখ। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ৯২ শিক্ষার্থী পেল উপাচার্য সম্মাননা ১ ডিসেম্বর ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে (ইইউ) উপাচার্য সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব ৯২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এই সনদ বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মর্তুজা আলী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক কাশিনাথ রায়, মেজর জেনারেল কাজী আশফাক আহমেদ (অব), রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আমানা সুলতানা। -বিজ্ঞপ্তি
×