ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইএমএফের এলিট ক্লাবে চীনা মুদ্রা রেনমিনবি

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

আইএমএফের এলিট ক্লাবে চীনা মুদ্রা রেনমিনবি

বিশ্বের অভিজাত ও অন্যতম প্রধান মুদ্রা হিসেবে সোমবার অভিষেক হলো চীনা মুদ্রা রেনমিনবির। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আর্থিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনের উত্থানকে আরও স্পষ্ট করেছে। আইএমএফের এ পদক্ষেপ বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেনে রেনমিনবির ব্যবহারের পথ আরও প্রশস্ত করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের অবস্থানকে আরও সংহত করবে। আইএমএফের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং বেশ কয়েক বছর সময় লাগে। এ প্রক্রিয়া চীনের আর্থিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন সমস্যা তৈরি করেছে। আইএমএফের শর্তগুলো পূরণ করতে গিয়ে চীনকে তার মুদ্রা ব্যবস্থার ওপর থেকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে হয়েছে। এর ফলে আগস্ট মাসে রেনমিনবির আকস্মিক পতনে বিশ্ববাজার টালমাটাল হয়ে পড়ে। এ পরিবর্তনের ফলে দেশটিতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এই পরিবর্তন হলো এমন সময়, যখন দেশটির অর্থনীতির গতি মন্থর। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রাগুলো নিয়ে গঠিত আইএমএফের এলিট ক্লাব স্পেশাল ড্রয়িংস রাইটসে (এসডিআর) রয়েছে মাত্র চারটি মুদ্রা; মার্কিন ডলার, ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড আর জাপানী ইয়েন। এখন থেকে এ ক্লাবে থাকবে রেনমিনবিও। এসডিআর হচ্ছে জাতীয় কোষাগারগুলোকে সমর্থনে কার্যসিদ্ধ মুদ্রায় গঠিত একটি আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ফান্ড। রেনমিনবিকে এ গ্রুপে যুক্ত করা প্রসঙ্গে আইএমএফ বলেছে, এ মুদ্রা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য এবং অবাধে ব্যবহার করা যাবে। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিনা ল্যাগার্ড ওয়াশিংটনে এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ বিগত বছরগুলোতে চীনের আর্থিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যে সংস্কার করেছে, তার অগ্রগতির স্বীকৃতি এটি। এসব প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা ও গভীরতা আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও আর্থিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। আইএমএফের এ সিদ্ধান্তে ইউরোপে তাদের ক্ষয়িষ্ণু প্রভাবের বিষয়টিও উঠে এসেছে। রেসমিনবি প্রধানত এসডিআরে ইউরোর ভূমিকায় স্থলাভিষিক্ত হবে। ডলার যখন অর্থ ও বাণিজ্যে প্রধান্য বিস্তার করছে, তখন রেনমিনবি দ্রুত ইউরোর স্থান দখল করে নিচ্ছে। -ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস জার্মানিতে শরণার্থীদের দলে ভেড়াতে তৎপর ইসলামপন্থীরা ইসলামপন্থী গ্রুপগুলো এখন শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের ধর্মশিক্ষা দিয়ে নিজেদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে। জার্মানির গোয়েন্দা এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নতুন আসা শরণার্থীরা ইসলামপন্থী গ্রুপগুলোর প্রধান টার্গেট। শরণার্থী মুসলিমদের বিশেষ করে এই বলে টোপ ফেলে যে তারা সমাজের মূলধারার সঙ্গে মিশতে পারবে। ইসলামপন্থীরা শরণার্থীদের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করতে সহায়তা করে থাকে। এভাবে করে এক পর্যায়ে তারা নিজেদের দলে রিক্রুট করে। জার্মান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন স্থানীয় ইসলামপন্থীরা নতুন আসা মুসলিম শরণার্থীদের মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে মিশতে পারবে এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা শুরু করে। তারা তাদের মসজিদে নিয়ে যায় এবং নিজস্ব ধ্যান-ধারণা প্রচার করে থাকে। প্রাথমিকভাবে শরণার্থীদের বলে, ‘আপনারা যেন নিজেদের বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারেন সে বিষয়ে আমরা আপনাদের সহায়তা করব।’ -ডেইলি মেল অনলাইন
×