ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৫

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ১ ডিসেম্বর ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মোঃ নাসির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসে। পরে জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রাত পৌনে ৮টার সময় তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জানান, এর আগে পল্টন থানার সর্বশেষ নাশকতার তিন মামলায় হাইকোর্ট ২৪ নবেম্বর তাকে জামিন দিলে রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে আপীল করে। কিন্তু ওই তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপীল বিভাগের সাড়া পায়নি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে ‘নো অর্ডার’ দেয়। এতে হাইকোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকায় মির্জা ফখরুলের মুক্তিতে ‘আর কোন আইনী বাধা নেই’ বলে জানান তিনি। বিএনপির এই নেতার জামিন প্রশ্নে আগে দেয়া রুল নিষ্পত্তি করে ২৪ নবেম্বর বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক ও বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামানের বেঞ্চ তিন মাসের জামিন দেয়। ওই জামিন স্থগিতের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ গত বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতে আবেদন নিয়ে গেলে বিচারক বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় তা সোমবার আপীল বেঞ্চে আসে। পল্টন থানার ওই তিন মামলাসহ নাশকতার সাত মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ২১ জুন পল্টন থানার ওই তিন মামলায় হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুলের জামিন বহাল রাখে। জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর মুক্তি পেয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরেন ফখরুল। এর মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে ফখরুলকে আপীল বিভাগের বেঁধে দেয়া সময় ২ নবেম্বর শেষ হয়। ফখরুল মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও তা নাকচ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেয় আপীল বিভাগ। পরদিন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে এই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেফতার হন ফখরুল। এরপর নাশকতার ওই সাত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
×