ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিজয়ের মাস

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

বিজয়ের মাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপরাধীর ক্ষমা নেই, ঠিক যেমন ক্ষমা পায়নি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী আলী আহসান মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লারা। দেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। সঙ্গত কারণে এবার বিজয়ের মাস এল এক ভিন্ন তাৎপর্য নিয়ে। ৭১-এর শহীদদের প্রতি দায় কিছুটা হলেও শোধ হলো। শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালী জাতি নিজস্ব মানচিত্রের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পায়। ৭১-এর এই দিনে সূচিত হয় নতুন মানচিত্রে নতুন এক জাতীয়তার। ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী সিলেটের শমসেরনগরে আক্রমণ চালিয়ে টেংরাটিলা ও দুয়ারাবাজার শত্রুমুক্ত করে। একাত্তরের ডিসেম্বর মাস থেকেই মুক্তিপাগল বাঙালীরা বুঝতে পারে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। ডিসেম্বরের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধ সারাদেশে সর্বাত্মক রূপ নেয়। ডিসেম্বরের শুরুতেও চলতে থাকে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা হামলা। একে একে মুক্ত হতে থাকে দেশের বিভিন্ন জায়গা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। শত্রুমুক্ত ঘোষণার পরও মুক্তিবাহিনীর অপারেশন চলতে থাকায় পাকিস্তানী সেনারা সিলেটের গারা, আলীরগাঁও এবং পিরিজপুর থেকে ব্যারাক গুটিয়ে নেয়। তবে রাওয়ালপি-িতে এক মুখপাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার শেষ হয়নি বলে বিবৃতি দেয়। এই দিনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টের বক্তৃতায় উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানী সৈন্য অপসারণের জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময়ও তৎপর ছিল স্বাধীনতাবিরোধীরা। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা গোলাম আজম বৈঠক করেছিলেন ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। তিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগের দাবিটিও তুলেছিলেন। গোলাম আযম কমিউনিস্টদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। এছাড়া মিত্রপক্ষ ভারতের হামলার প্রতিবাদে খুলনায় হরতাল পালন করেন শান্তি কমিটির সদস্যরা।
×