ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত যাওয়ার সময় শেষ : দেশেই থাকলেন ১৩ জন

প্রকাশিত: ২২:২৩, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

ভারত যাওয়ার সময় শেষ : দেশেই থাকলেন ১৩ জন

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ ৬৮ বছরের মায়া ছেড়ে এবং বাপ-দাদার ভিটেমাটি বিক্রি করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত তিন ছিটমহলের আরও ১০ পরিবারের ২৬ বাসিন্দা স্থায়ীভাবে ভারত চলে গেলেন। শেষ দফায় সোমবার ৩৪ জনের ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্যরা সময়মত না আসায় তাদের ছাড়াই স্থানীয় প্রশাসন ২৬ জনকে ভারতে পাঠিয়ে দেন। স্থায়ীভাবে ভারত গমনে অপশন প্রদানকারী তালিকাভূক্তদের মধ্যে শেষদিন পর্যন্ত ১৩ জন দেশেই থেকে গেলেন। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৩০ নবেম্বর সোমবার ছিল ভারত যাওয়ার শেষ দিন। এজন্য রবিবার বিকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত দহলা খাগবাড়ি, কোট ভাজিনী ও বেলুয়াডাঙ্গা ছিটমহলের ২৬ বাসিন্দা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও আসবাবপত্রসহ দেবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে জড়ো হন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে সোমবার সকালে তারা ভারতযাত্রা শুরু করেন। বরাবরের মত এবারও পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম তাদের ফুল দিয়ে বিদায় জানান। এসময় দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। দুপুরের মধ্যে এই নতুন ভারতীয় নাগরিক পাশর্^বর্তী নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটী-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সূত্র মতে, জেলার তিন উপজেলার ৩৬টি বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে ৯৮ পরিবারের ৪৮৭ জন স্থায়ীভাবে ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালিকার পর এসব পরিবারে চার নবজাতকের জন্ম হয়। কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত তিনটি পরিবারের মোট ১৩ জন ভারত যাওয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে আসেননি। তাদের কোন খোঁজও মেলেনি। অবশেষে ৪ নবজাতকসহ ৪৭৪ জন স্থায়ীভাবে ভারতে চলে গেলেন। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম জানান, ৩০ নবেম্বরের মধ্যে ভারতের নাগরিকত্বগ্রহণকারীদের ভারতে পৌছাতে হবে। ৯৮ পরিবারের চার নবজাতকসহ ৪৯১ জনের ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালিকা অনুযায়ী ভারতগামী তিন পরিবারের ১৩ জনকে পাওয়া যায়নি। তবে পাঁচ দফায় ৯৫ পরিবারের মোট ৪৭৮ জন শান্তিপূর্নভাবে ভারতে চলে গেলেন। ভারতে যেতে তালিকাভূক্ত হওয়ার পরও যারা দেশে থেকে গেলেন, তাদের ব্যাপারে পরবর্তি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
×