ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফেসবুক নিরাপত্তা ঝুঁকি কমলেই খুলে দেয়া হবে ॥ তারানা হালিম

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

ফেসবুক নিরাপত্তা ঝুঁকি কমলেই খুলে দেয়া হবে ॥ তারানা হালিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সার্থে সাময়িকভাবে ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে। যখনই নিরাপত্তা ঝুঁকি কম মনে হবে তখনই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে। যারা বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাদের আইডিও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার রোধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ইন্টারনেট চালু রেখে ফেসবুক শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই অনেকেই বিভিন্ন এ্যাপস ডাউনলোড করে বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। রবিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। আমাদের দেশেও এই কাজটিই করা হযেছে। তবে ইন্টারনেট তো চালু রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপনারা কী এগ্রি করেন, আপনারা তো দীর্ঘদিন আছেন, আমি তো স্বল্পসময়। হান্ড্রেড পার্সেন্ট কী বন্ধ করা সম্ভব? ফেসবুক হান্ড্রেড পার্সেন্ট বন্ধ করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট যতক্ষণ না সম্পূর্ণ শাটডাউন করেন। সেটা আমরা করতে চাই না। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করব না। সবারই সীমাবদ্ধতা থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবেলা করছি। কিন্তু কেউ যদি বলেন, এক শ’ ভাগ এটি (ফেসবুক ব্যবহার) সম্ভব, আমি অনুরোধ করব এক শ’ ভাগ কীভাবে সম্ভব আমাকে একটু জানিয়ে যান। তাহলে তিনি একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য উদ্ভাবক হিসেবে পুরস্কারও পেতে পারেন। পৃথিবীর কোথাও ইন্টারনেট শাটডাউন ছাড়া ফেসবুক বন্ধ রাখা কোন প্রযুক্তিবিদ বলতে পারেননি। বিকল্প পথে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি কম হলে ব্যবহার করতে পারবেন না। নাশকতাকারীরা ব্যবহার করলেও দ্রুত ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দাবি করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কবে নাগাদ ফেসবুক খুলে দেয়া হবে, এই কথাগুলো আমাকে আহত করে। এখানে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন মনে করবে এখন নিরাপদ, তখন খুলে দেয়া হবে। যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করবে, তখনই খুলে দেয়া হবে। মতবিনিময় সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×