ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নাইকো দুর্নীতি মামলা

খালেদা বিচারিক আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করবেন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

খালেদা বিচারিক আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করবেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাইকো দুর্নীতি মামলায় আজ সোমবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করছেন বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। জরুরী অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলা বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে। রবিবার দুপুরে খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার দুপুরে তিনি জজ আদালতে হাজির হবেন এবং জামিনের আবেদন করবেন। ঢাকার বিশেষ জজ মোঃ আমিনুল ইসলামের আদালতে এ মামলাটির শুনানি হবে বলেও তিনি জানান। নাইকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন গত ১৮ জুন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয় হাইকোর্টের রায়ে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। এরপর খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই দুর্নীতির এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন উচ্চ আদালত। মামলা দায়ের কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা। প্রায় সাত বছর পর চলতি বছর শুরুতে রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। খালেদার আবেদনে রুলের ওপর শুনানি করে জুনে রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ফৌজদারি মামলা নিয়ে রিট আবেদন চলে না বলেই বিএনপি নেত্রীর আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- চারদলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মোঃ শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
×