ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

॥ এক ॥ বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল অপরাধ ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নারীদের সঙ্গে ডিজিটাল অপরাধ কতটা হচ্ছে তার বিষয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সবাইকে চমকে দিয়েছে। সভার সূত্র অনুসারে এসব অপরাধের শতকরা ৭৫টি হয়ে থাকে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে। সেখানে আরও জানানো হয় যে, ডিজিটাল অপরাধের প্রধান ক্ষেত্র ফেসবুক হলেও অন্যান্য অপরাধের মাত্রাও একেবারে কম নয়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুভব করে সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নামক একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছে। সম্প্রতি ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে সরকার ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা অবধি সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞা তোলার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বলতে গেলে কেউই মানছে না। ফেসবুক-ভাইবার দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সরকারের কোন প্রচেষ্টা বিকল্প এসব পথ বন্ধ করতে পারছে না। বিষয়টি কেবল আমাদের দুশ্চিন্তার বিষয় নয়। উন্নত দেশ ফ্রান্স জরুরী অবস্থা জারি করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার ক্ষমতা সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে। যদিও তারা সেই অধিকার এখনও প্রয়োগ করেনি তবু আমরা এটি খুব সহজেই অনুভব করতে পারি যে, ডিজিটাল প্লাটফর্ম তাদের জন্যও উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাইতে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই কথা বললেন। তার মতে ‘রক্তপাতহীন’ এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উদ্বোধন করতে গিয়ে মোদি যে ছোট বাক্যটি উচ্চারণ করেছেন সেটি আমাদের উপলব্ধি করা দরকার। আমাদেরও বোঝা দরকার যে, বাংলাদেশের ডিজিটাল সত্তার সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা, অপরাধ, তদন্ত এবং রাষ্ট্রের প্রস্তুতি দরকার। বিষয়টি নিয়ে আমাদেরকে একটু বেশি আলোচনা করতে হবে এজন্য যে, আমরা এই অপরাধের অজুহাতে সারা দুনিয়া থেকেই আলাদা হয়ে আছি। আমরা ঠিক জানি না, মাথাব্যথার জন্য আমাদের মাথা কাটতে হবে নাকি অন্য কোন উপায় আছে যাতে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করব, জীবনধারাকে ডিজিটাল করব এবং নিরাপদ থাকব। সম্ভবত দুনিয়ার কেউ ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অপরাধের রূপান্তরকে অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা পুরো বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে চাই। সম্প্রতি ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে সরকার ও জনগণের সচেতনতা বাড়লেও আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছি তখন থেকেই বিষয়টি অনেক গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই কাজটি আমরা করিনি। ২০০৬ সালের পর থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের মোট তিনটি কাজের কথা উল্লেখ করতে পারব। প্রথমত, সরকার আইসিটি আইন নামক একটি আইন ২০০৬ সালে প্রণয়ন করে। সেটি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুবার সংশোধন হয়। সম্ভবত আরও একটি সংশোধনীর মুখে আছে সেটি। সেই আইনে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ে বেশকিছু বিষয়ে আলোচিত হয়েছে। তবে আইনটি ছিল ডিজিটাল সিগনেচার চালু করা বিষয়ক। ফলে ডিজিটাল অপরাধ দমনে এটি তেমন কার্যকর কোন ভূমিকা পালন করতে পারছে না। দ্বিতীয় কাজটি হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক সচেতনতা নামে একটি কর্মসূচী গ্রহণ করে সরকার দেশব্যাপী কিছু সেমিনারের আয়োজন করেছে। এটির কাজ চলছে। কোন একটি এনজিওকে লাভবান করাই সম্ভবত এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। দেশজুড়ে কোন সচেতনতা তৈরি হয়েছে বলে আমার অন্তত মনে হয়নি। তৃতীয় কাজটি এখন চলমান। সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নামে একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছে যেটি এখন আলোচনার টেবিলে। এটিই বস্তুত ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি আমাদের প্রবলভাবে দৃষ্টি দেয়ার ক্ষেত্র। আমরা বেসরকারী খাতকেও ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে সচেতন হতে দেখেছি। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ডিজিটাল সন্ত্রাসের ওপর একটি সেমিনার করেছে ’১৫ সালের জুলাইতে। বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া সমিতিও এই বিষয়ে সেমিনার করেছে। যাহোক, ডিজিটাল অপরাধের জগতটি আমাদের কাছে এখন আর তেমনভাবে অচেনা নয়। এর সঙ্গে আমাদের প্রতি মুহূর্তে দেখা-সাক্ষাত হচ্ছে। বরং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী দেশে যতটা আলোচিত হয়েছিল তার চাইতে অনেক বেশি আলোচনার বিষয় হয়েছিল ডিজিটাল অপরাধ। বিশেষ করে ২০১৩ সালে ব্লগে ইসলাম ধর্মের অবমাননা, ফেসবুকে পেজ খুলে ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে বক্তব্য প্রদান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবিতে প্রচারণা, দেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর স্বপক্ষে অপপ্রচার, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও অন্তত ৪ জন ব্লগার গ্রেফতার, মাহমুদুর রহমান ও ব্লগারদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ব্যাপকভাবে। ২০১৪ সালে অবস্থাটি ততটা ভয়াবহ না হলেও ডিজিটাল অপরাধের প্রবণতা ও সম্প্রসারণ ব্যাপকভাবেই হয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে ডিজিটাল অপরাধের পরিধিটা আরও সম্প্রসারিত বলেই মনে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনিই এসব অপরাধবিষয়ক খবরাখবর আমরা দেখছি। আমরা ২০১৩ সালের কথা স্মরণ করতে পারি। সেই সময়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন, হেফাজতে ইসলাম ও গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক পরস্পরবিরোধী অবস্থান গ্রহণ, রাজনীতিবিদ, সুশীলসমাজ ও সাংবাদিকসহ সকলেরই তখন আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম ডিজিটাল অপরাধসমূহ। ডিজিটাল অপরাধকে ভিত্তি করে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, হত্যা, গুম, আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির এত ব্যাপকতা এর আগে এদেশে কখনও এমনভাবে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টক শো ও রাজনৈতিক পরিম-ল সর্বত্রই এর ব্যাপক আলোচনা ছিল। এসব রাজনৈতিক ঘটনা ছাড়াও ইন্টারনেটে ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিংসতা, ডিজিটাল পর্নোগ্রাফি, মানিলন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, স্ম্যামিং, হ্যাকিং ইত্যাদির মাত্রা প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আমার ধারণা, দিনে দিনে ডিজিটাল অপরাধের পরিধি আরও বাড়বে এবং এই আলোচনার পরিধি আরও বাড়তে থাকবে। ক্রমশ ডিজিটাল অপরাধ, তার প্রতিকার, প্রতিরোধ, তদন্ত, বিচার ও শাস্তির বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকবে। বিদ্যমান অবস্থা, প্রচলিত আইন এবং তার প্রয়োগের বাইরে আমাদেরকে ভাবতে হবে নতুন ডিজিটাল অপরাধ কেমন করে মোকাবেলা করতে হবে। এমনকি এখনই যে অবস্থায় আমরা বিরাজ করছি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথটাও আমাদের খুঁজতে হবে। আমি মনে করি, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পাবার দাবি রাখে। পুরো প্রসঙ্গটিই অনুপুঙ্খ আলোচিত হতে পারে। এতদিন আমরা কেবল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মানুষরা ইন্টারনেটের অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম নিয়ে আলোচনা করতাম। কিন্তু এখন বিষয়টি তার মাঝেও সীমিত নেই। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট পিসি বা স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে ডেস্কটপ পিসি বা কম্পিউটার সিস্টেম পর্যন্ত বিস্তৃত সকল ডিজিটাল যন্ত্রের সঙ্গে অপরাধের সম্পৃক্ততা তৈরি হয়েছে। শুধু সাইবার ক্রাইম বলে এখন সকল অপরাধকে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রচলিত ধরন-ধারণও বদলে গেছে। আর সে কারণেই আমি ডিজিটাল যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অপরাধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই। বাংলাদেশে ডিজিটাল যন্ত্র : বাংলাদেশে কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে। তবে কম্পিউটার যন্ত্র এবং অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্রের সঙ্গে আমাদের জানাশোনা ৮৭ সালের পর। ৮৭ সালে আমাদের কম্পিউটারে বাংলা আসে আর মুদ্রণ ও প্রকাশনার জগতে ঘটে বিপ্লব। ধীরে ধীরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকে কম্পিউটারের প্রসার ঘটে। তবে আমাদের ডিজিটাল জগত গড়ে ওঠে ’৯৬ সালের পর মোবাইলের মনোপলি ভাঙ্গা ও ইন্টারনেটের প্রসারের পর। বস্তুত ’৯৫ সালে ইন্টারনেট দুনিয়াজোড়া বিস্তৃত হওয়ার সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে। বাংলাদেশেও তখন অফলাইন ইন্টারনেট চালু হয়। তবে এদেশে ’৯৬ সালের জুন মাসে আসে অনলাইন ইন্টারনেট। ’৯৭ সালে ভাঙ্গে মোবাইলের মনোপলি। এই শতকের ২০০৭-০৮ সালের দিকে মোবাইল বা ইন্টারনেট দুই ধারাতেই বেশ ভাল গতির সঞ্চার হয়। তবে ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি প্রসার হয় ২০০৯ সালের পর। ২০১৫ সালে মোবাইলের ব্যবহার ২০০৮-এর তুলনায় প্রায় তিনগুণ এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এর পেছনে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। বলে রাখা ভাল, আমাদের দেশে কম্পিউটার আসার সময়কালে বা এর প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার তেমন কোন কারণই ছিল না। কেউ কেউ সেই সময়ে সাইবার অপরাধ নিয়ে কথা বললেও ডিজিটাল অপরাধের সর্বব্যাপী বিস্তারের জন্য আমাদেরকে কার্যত ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পরের সময়টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০০৮ সালের শেষে আসে ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মসূচী। ফলে এতদিনে কম্পিউটারের জগতটা ডিজিটাল জগত হয়ে গেছে। শুধু ডিজিটাল যন্ত্রকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা প্রযুক্তি এখন সভ্যতার নিয়ামকে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল জগত ও তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অপরাধের জগতও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে। দেশে একটা সময় পর্যন্ত ডিজিটাল জগতের অপরাধগুলো প্রধানত ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। মাঝেমধ্যে রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক সংস্থাগুলো ডিজিটাল অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হলেও বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হতে থাকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে। প্রথমে ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর সরকার ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক প্রথম মামলা করে। সেই মামলার আসামি হলেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে সেই বছরেরই এপ্রিল মাসে সরকার ৪ ব্লগারের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল অপরাধে মামলা করে। সব ক’টি মামলাই আইসিটি এ্যাক্ট ২০০৬ (২০০৯ সালে সংশোধিত)-এর আওতায় করা। আমাদের নিজেদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর একটি সমৃদ্ধ দেশ এবং সারা দুনিয়ার জন্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয় এরই মাঝে আমরা প্রকাশ করেছি। একদিকে একে আমরা বলছি তথ্যের মহাসরণি, অন্যদিকে নীল আকাশের সঙ্গে আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মকা-কে যুক্ত করছি। আমার নিজের কাছে বিষয়টিকে খুব সঙ্গত ও মনোমুগ্ধকর মনে হয়। নীল আকাশের সঙ্গে যদি আমরা ডিজিটাল জগতটাকে তুলনা করি এবং আমাদের বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত ইন্টারনেটকে যদি নীল আকাশের গ্রহ, নক্ষত্র, তারা মনে করি তবে একে নিরাপদ রাখা আমাদের জন্য এক অতি আবশ্যকীয় কাজ বলে মনে হবে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যেমন করে এই আকাশটাকে শেয়ার করি তেমনি ডিজিটাল আকাশটাকেও আমরা শেয়ার করি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের সেই আকাশটা কি নীল রঙে মুগ্ধ করার মতো অবস্থাতে আছে? নীল আকাশে কি শকুনের পাখার শব্দ আমরা শুনছি না? একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, ভাসতে ভাসতে ভেলায় উড়ে বেড়ানোর মতো নীল ডিজিটাল আকাশ কি আমরা পাই? প্রতিদিন কি আমরা শকুনের থাবায় পড়ছি না। যাকে বলে ডিজিটাল আকাশÑতাতেও কি সাইবার অপরাধ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে না? আমরা কি নিজের জন্য, নিজের সন্তানের জন্য, নিজের ব্যবসার জন্য, সমাজের জন্য বা রাষ্ট্রের জন্য শঙ্কিত নই? চলবে... ঢাকা, ২৭ নবেম্বর ২০১৫ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক ॥ ই-মেইল : [email protected] ওয়েবপেজ:ww w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×