ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়া আগুন নিয়ে খেলছে ॥ এরদোগান

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

রাশিয়া আগুন নিয়ে খেলছে ॥ এরদোগান

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান সিরিয়াতে তৎপরতা চালাতে গিয়ে আগুন নিয়ে না খেলতে রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। এদিকে, রাশিয়া সিরীয় উপকূলে এক যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে এবং এর প্রধান ঘাঁটিতে নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে সিরিয়াতে এর বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা জোরদার করেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে এরদোগান রাশিয়া দায়েশের (ইসলামিক স্টেটের অন্য নাম) বিরুদ্ধে লড়াই করার ছদ্মাবরণে সিরীয় সরকার বিরোধীদের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে আগুন নিয়ে খেলছে বলে দেশটিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া তুরস্কের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য অভিযোগ আনার অজুহাত হিসেবে জেট বিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। তিনি এক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে রাশিয়ায় অবস্থানরত তুর্কি নাগরিকদের প্রতি দুর্ব্যবহার করার দায়ে রুশদের অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, তিনি ইস্যুটিকে এক যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নিয়ে আসতে আগামী সপ্তাহে প্যারিসে জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চান। ইস্যুটি নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় আমরা বিচলিত। দূর পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংবলিত ওই মস্কভা যুদ্ধজাহাজ রুশ বিমানগুলোকে সুরক্ষা দেবে। জাহাজটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ওসা ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত। এটি যুদ্ধ মিশনে রুশ বোমারু বিমানগুলোকে নিরাপত্তা দেবে। সিরিয়ায় ইতোমধ্যে মোতায়েন করা এস-৪০০ ক্ষেণাস্ত্রও তাই করবে। এস-৪০০ রাশিয়ার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ক্ষেণাস্ত্র। এটি এ প্রথম বিদেশে মোতায়েন করা হয়। মঙ্গলবার তুরস্কের হাতে এক জঙ্গী বিমান ভূপতিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে এখনও বিরোধ চলছে। রাশিয়া তুরস্কের সঙ্গে এর ভিসামুক্ত ব্যবস্থা স্থগিত করেছে এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এরদোগানের সঙ্গে কথা বলার আগে তুরস্ককে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন। রুশ এমইউ-২৪ জঙ্গী বিমানটি গতিপথ পরিবর্তনের জন্য বার বার দেয়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ১৭ সেকেন্ড তুর্কি আকাশসীমায় ওড়তে ছিল বলে তুরস্কের বক্তব্য রাশিয়া প্রত্যাখ্যান করে। জঙ্গীদের ব্যয় মাত্র ৭৫০০ ডলার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সম্প্রতি যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে তা বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে মাত্র সাড়ে সাত হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। ১৩ নবেম্বর প্যারিসের কয়েকটি স্থানে একযোগে হামলা চালিয়ে ১৩০ জনকে হত্যা করে জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করতে বাধ্য হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার। ওই হামলার পর সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। পাশাপাশি নিরাপত্তা খাতে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ইউরো ব্যয় বরাদ্দ করেছে। অপরদিকে কালাশনিকভ রাইফেল ও গুলি, ঘরে তৈরি আত্মঘাতী বেল্ট, ভাড়াগাড়ি ও এ্যাপার্টমেন্ট ইত্যাদির জন্য আট জঙ্গী তুলনামূলক সামান্য পরিমাণ অর্থই ব্যয় করেছেন বলে জানা গেছে। -ওয়েবসাইট
×