ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে  যুক্তরাজ্যের সঙ্গে  সহযোগিতা আরও জোরদার হবে ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। বুধবার মালটায় কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হামমন্ড বৈঠকে মিলিত হয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংস চরমপন্থার উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএসআই ও আল-কায়েদা তাদের নিজেদের ভূমি ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তারে তৎপর হওয়ায় এটি একটি অভিন্ন হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সব দেশকে সজাগ হতে হবে। ব্রিটিশ মন্ত্রী সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভাল রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সংঘটিত বিএনপি-জামায়াত জোটের কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে বিপন্ন করা। দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ম্লান করা। তবে বিভিন্ন ধরনের নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশের জনগণের পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও তিনি জানান। মাহমুদ আলী পছন্দমতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। ব্রিটিশ মন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রথম দিনে নিয়মিত বৈঠকে অংশ নেন। এতে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা এসডিজি ও এমডিজি বাস্তবায়নের উপায়সহ উন্নয়ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এলডিসির জন্য গৃহীত উদ্যোগ এবং ছোট দেশগুলোর বাণিজ্য বিধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের ভ্রমণ সহজ করার মাধ্যমে ‘কমনওয়েলথ এ্যাডভানটেজ’ তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এদিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তিন দিনব্যাপী কমনওয়েলথ ওমেন’স ফোরাম বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে সর্বোত্তম চর্চা এবং অগ্রগতি তুলে ধরেন।
×