ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

উবাচ

তাহারা আমাদের লোক স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাকি দোসরদের ফাঁসিতে মন কেঁদে উঠেছে তালেবানী দালাল ইমরান খানের। শেষ মুহূর্তে এসে ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা এই ইমরান খান। শেষ মুহূর্তে এসে বলেই ফেলছেন ‘তাহারা আমাদের লোক পায়ে ধরি ফাঁসি দিও না।’ আর এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে যুদ্ধাপরাধী সাকা মুজাহিদ ’৭১-এর পরেও পাকিস্তানী এজেন্ট ছিল। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসির বিরুদ্ধে বারবার তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ, সাকার বিচারের সময় ভুয়া সাক্ষী দিয়ে তার পক্ষে সাফাই দেয়ার চেষ্টা, সবকিছুই সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের বিপক্ষেই গেছে। অন্যদিকে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির পর পাকি জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দেয়া যথেষ্ট নিন্দনীয়। অপর এক জামায়াত নেতা লিয়াকত বালুচ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের ইঙ্গিতে বিরোধী দলকে প্রতিশোধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। সিরাজুল হক আরও দাবি করেন, জামায়াত নেতা মুজাহিদ কোন অপরাধী নন। সেই সময়ে আলী আহসান মুজাহিদ একজন পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে ভারতীয়দের প্ররোচণায় উদ্বুদ্ধ কিছু যুদ্ধ-আগ্রাসীর হাত থেকে দেশকে রক্ষার চেষ্টা করেছিল। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে তো মুজাহিদ অপরাধীই নয়। সিরাজুল হক বলেন, আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সময়কার হত্যার অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, ওই সময়ে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন, এর তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা পাকিস্তানের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন উল্লেখ করে পাকিস্তানী এই নেতা বলেন, ‘এখনও তারা সেই দেশের সৃষ্টিকে ভুলে গিয়ে পাকিস্তানের মতাদর্শ ধারণ করে চলছে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ’৭১-এর ঘৃণ্য খুনী, ধর্ষক, অগ্নিসংযোগকারী সাকা চৌধুরীর ফাঁসির পর তার পরিবারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে ক্ষুদিরামকে ধরে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে। পাকি দোসর সাকার পরিবারের দুই ছেলেও সাকার মতোই নির্লজ্জ। বাবার কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ তো নেইই বরং বুক ফুলিয়ে তার এক ছেলে হুম্মাম কাদের (হুকা) চৌধুরী বলেন, আমার আব্বা এত লম্বা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি তিনি ক্যামনে মাফ চান। অথচ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সাকা চৌধুরীর দুই ছেলে এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণভিক্ষার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছে। শেষ পর্যন্ত আশাহত হয়ে বাবার জীবনের বিনিময়ে বিএনপি এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে ভিন্ন প্রচারণা শুরু করেছে। এই হুকা বলছে তার বাবা নাকি চট্টগ্রামের সিংহপুরুষ। এ জন্যই চট্টগ্রামের মানুষ তার জন্য একটু হা হুতাশও করেনি। বরং ভেবেছে অপরাধীর ছাড় নেই। হুকা বলছে, তার বাবা বিএনপির রাজনীতির বিরাট শক্তি এজন্য সরকার ভয় পেত। কিন্তু সেই শক্তিশালী ব্যক্তির জন্য বিএনপির কর্মসূচী বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। অন্তত সাকার পরিবার তার অতীত ইতিহাস ভুলে গেলেও বিএনপি ভুলে যায়নি। হুকার দাম্ভিকতা দেখে দেশের মানুষও বিস্মিত। কোন সাহসে কার মদদে যুদ্ধাপরাধীর ছেলের গলায় এত চড়া আওয়াজ তাও জানতে চায় সাধারণ মানুষ। বাড়ি দিয়ে দেব! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ নিজের বাড়িঘর তাকে ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সংসদ সদস্যদের জন্য বাড়ি-গাড়িসহ নানা সুবিধা চেয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, যারা নতুন সংসদ সদস্য, তাদের প্লট নেই। তাদের প্লট বরাদ্দের ব্যাপারে আমি মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আসন থেকে মাইক ছাড়াই বলে ওঠেন, আমারই তো প্লট নেই। জবাবে রওশন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তো সারা বাংলাদেশ। তার লাগবে কেন? তিনি চাইলে আমার বাড়ি ছেড়ে দেব। এ সময় পুরো অধিবেশন কক্ষে হাসির রোল পড়ে। বক্তব্যে জাতীয় পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য রওশন সরকারের মন্ত্রীদের সারাদেশে ঘুরে ঘুরে মানুষের অবস্থা পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বাংলাদেশের কোথাও যেতে দেখি না। তারা তো বাংলাদেশের মন্ত্রী। কোত্থাও যায় না। ২০ বছর ধরে আমি সংসদে আছি। আমি কোন দিন কোন মন্ত্রী মহোদয়কে দেখি নাই, ঢাকার বাইরে যেতে। নিজের এলাকায় গেলে হবে না, সব জায়গায় যেতে হবে। সাম্প্রতিক অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। তাদেরকে যেভাবে নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হয়, সম্মান করা হয়, অন্য কোথাও রাখা হয় না। যারা কথা বলছে, কথাটা সঠিক নয়। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ। বিদেশী হত্যা, শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবিও জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
×